ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নির্বাচনের আগেই রংপুরে গ্যাস যাবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
নির্বাচনের আগেই রংপুরে গ্যাস যাবে

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: চলতি বছরই রংপুর অঞ্চলে গ্যাসের পাইপ লাইনের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের আগেই রংপুরে গ্যাস যাবে।
 

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। একইসঙ্গে বলেন, ভোলায় নতুন গ্যাসকূপে পাওয়া গেছে।

এতে ৭০০ বিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। সেই গ্যাসের প্রেসার হবে ৫ হাজার ৬০০ পিএসআই। যা এযাবৎকালে দেশের গ্যাসের যে প্রেসার রয়েছে, তাতে এটিই সর্বোচ্চ।
 
নসরুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের দেশে পরিণত হতে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ লাগবে ৭১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ২১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কাজ চলছে। আগামী ২০৪০ সালে বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়াবে ৬০ হাজার মেগাওয়াট।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উপর আস্থা থাকায় ইউরোপ এবং জাপান থেকে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এরইমধ্যে ইউরোপ থেকে বিদ্যুৎ জ্বালানিতে বিনিয়োগ পেয়েছি প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। আমাদের স্বাধীনতার ৪৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ইউরোপের দেশগুলো বর্তমান সরকারের প্রতি আস্থা দেখিয়ে বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। জার্মানির সিমেন্স কোম্পানি সাড়ে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুক্তি করেছে। চীনের সঙ্গে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছে। এ বছরই চীনের অর্থ আসা শুরু করবে।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধানমন্ডি এলাকার সব বিদ্যুৎ আমরা মাটির নিচে নিয়ে যাচ্ছি। ধীরে ধীরে ঢাকা শহরসহ ডিপিডিসি এবং ডেসকো এলাকায় সেসব সাবস্টেশন এখন ভূমির উপরে সেগুলো মাটির নিচে চলে যাবে। বিদ্যুৎ লাইনগুলো মাটির নিচে চলে যাবে।
 
তিনি বলেন, মহেশখালীতে সমুদ্রের তলদেশ থেকে দু’টি পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেল আনার জন্য কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দুই বছরের মাথায় বাংলাদেশের সব তেল ক্রুডঅয়েল, ফিনিশ ওয়েল সব গভীর সমুদ্রের পাইপ লাইনের মাধ্যমে আসবে। বর্তমানে একটি জাহাজ খালাস করতে প্রায় ১২ দিন সময় লাগে। এই পাইপ লাইন হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি জাহাজের খালাস করা সম্ভব হবে। এতে প্রতিবছর সরকারে সাশ্রয় হবে ১০০ মিলিয়ন ডলার।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।