ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শেখ বাতেনের প্রতি অবিচার: ১৭ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
শেখ বাতেনের প্রতি অবিচার: ১৭ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য ও প্রশাসন ক্যাডার সার্ভিসের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা ড. শেখ আবদুল বাতেনের প্রতি অবিচারের প্রতিকার চেয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১৭ বিশিষ্ট নাগরিক। 

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) লেখক ও প্রকাশক আনোয়ার ফরিদী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, মুক্তিযোদ্ধা, সমাজবিজ্ঞানের গবেষক, শিক্ষক ও লেখক ড. শেখ আবদুল বাতেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাষ্ট্র-প্রশাসনের অনাচারের এক ভয়ানক নির্মমতার শিকারে পরিণত হয়েছেন। তাকে ন্যায্য বেতন-ভাতা ও যাবতীয় সরকারি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

সেজন্য নিত্যদিন তাকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ’

১৭ বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতিতে বলেন, ‘ড. বাতেন প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা (পিএইচডি) গ্রহণ শেষে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর দেশে ফেরেন। তখন তিনি চাকরিতে যোগ দিতে চাইলে ড. বাতেনকে বাধা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০০৪ সালের ৪ অক্টোবর তার যোগদানপত্র গ্রহণ করে। কিন্তু চক্রান্ত করে যোগদানের সেই রেকর্ড হারিয়ে গেছে বলে জানানো হয়। একের পর এক বাধার কারণে তিনি আর চাকরিতে যোগদান করতে পারেননি। ’

বিশিষ্ট নাগরিকেরা অভিযোগ করেন, মুক্তিযোদ্ধা শেখ বাতেনকে কাজে যোগদানে বাধা দেওয়া হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সরকার ও তার সহযোগী আমলাদের তরফ থেকে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সবশেষ আইন মন্ত্রণালয়ের ২০১৬ সালের মে মাসে দেওয়া প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়- ‘তার চাকরিতে যোগদান করতে না দেওয়া আইনের লঙ্ঘন’। এরপরও দুর্ভাগ্যজনকভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ড. বাতেনের চাকরির বিষয়টি অনিষ্পন্ন রাখা হয়। বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় এই মুক্তিযোদ্ধার পরিবারে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। বর্তমানে তার উন্নত চিকিৎসাও প্রয়োজন। ’

ড. বাতেনের চাকরির ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বিশিষ্ট নাগরিকদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শেখ আউয়ালের কনিষ্ঠ সহোদর মুক্তিযোদ্ধা ড. বাতেনের বিরুদ্ধে জামায়াত-বিএনপি আমলে রাজনৈতিক বিদ্বেষে দেওয়া আদেশ বাতিল করে আইনসঙ্গত সুবিধাদি প্রাপ্তির বিষয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইতিবাচক উদ্যোগ নিতে হবে, এটা আমাদের সবার একান্ত প্রত্যাশা’।

যৌথ এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, সাবেক সচিব মো. শাহজাহান সিদ্দিকী (বীর বিক্রম), জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, প্রফেসর কে এ এম সা’দ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট জেয়াদ-আল-মালুম, প্রফেসর ড. এ কে মনোওয়ার উদ্দীন আহমদ, প্রফেসর মেজবাহ কামাল, ড. সলিমুল্লাহ খান, প্রফেসর ড. এ কে এম সালাহউদ্দীন, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রথম ডিজাইনার ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শিবনারায়ণ দাশ, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম (বীর প্রতীক), সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক সচিব মো. আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া, কবি ও লেখক মাকিদ হায়দার, অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত, প্রফেসর ড. কাজী নুরুল ইসলাম, স্থপতি সাঈদা সুলতানা এ্যানি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।