ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩০ জনের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩০ জনের কারাদণ্ড

বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সোহরাব হোসেন হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড, একজনকে যাবজ্জীবন ও ২৯ আসামিকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত ৩১ আসামির সবাইকে অর্থদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এ দণ্ডাদেশ দেন।

রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

নিহত সোহরাব আলী শেখ বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার গাজিরহাট গ্রামের বাসিন্দা।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা গ্রামের ইউসুফ তরফদারের ছেলে আতহার আলী ওরফে পরান বাবু এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছেন আব্দুর রশিদ। এদের দুইজনকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
অনাদায়ে আরো এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

এছাড়া অপর ২৯ আসামিকে ১৪৭ ধারায় দুই বছর এবং ১৪৮ ধারায় তিন বছর করে কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ২৯ আসামিকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হচ্ছেন, সিদ্দিকুর রহমান, হান্নান, রবিউল শিকদার, রাজ্জাক শিকদার, বাবুল হাওলাদার, আব্দুর রব শেখ, আব্দুল করিম শেখ, খলিল শেখ, হাদিস গাজী, মোজাহার গাজী, আনোয়ার হাওলাদার, কালা বাবুল, দিপু ওরফে দিপংকর, হাকিম, হেমায়েত, রফিকুল ইসলাম, আব্দুর রব শিকদার, ফরহাদ হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল ওহাব, গোলাম ফারুক, বাবুল হাওলাদার, পিকলু সরদার, শুক ওরফে সুলতান, মাসুদ শেখ, তরিকুল ইসলাম, মোজাহার ওরফে মোতাহার গাজী, আসাদ শেখ ও আজাহার ওরফে মোজাহার তরফদার। এদের সবার বাড়ি বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামে।
 
মামলা সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০০১ সালের ১৮ জুন সকাল ১০টার দিকে পরান বাবু এবং ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল মোরেলগঞ্জ গাজিরহাট গ্রামের সোহরাব আলীর বাড়িতে যায়। তারা বাড়িটি ঘিরে সোহরাবসহ তার পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে সোহরাব বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আসামিরা তাকে গুলি এবং কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী কহিনুর বেগম একই দিন ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে মোড়েলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ পরিদর্শক মো. রেজাউল ইসলাম তদন্ত শেষে ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। দীর্ঘ শুনানি ও ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে এ দণ্ডাদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সীতা রাণী দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন এ কে আজাদ ফিরোজ টিপু।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।