ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

উন্নয়ন অংশীদারদের গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগের আহ্বান

মহিউদ্দিন মাহমুদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
উন্নয়ন অংশীদারদের গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগের আহ্বান ৪১তম গভর্নিং কাউন্সিলের উদ্বোধনী সেশনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রোম (ইতালি) থেকে: ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে উন্নয়ন অংশীদারদের গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেছেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে উন্নয়ন অংশীদারদের আরও উদার হতে হবে। পাশাপাশ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে হবে।

 

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সকালে 
আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) ৪১তম গভর্নিং কাউন্সিলের উদ্বোধনী সেশনের মূল বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।

‘ভঙ্গুরতা কাটিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতা: টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ’ শীর্ষক সেশনের সভাপতিত্ব করেন ইফাদ প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট ফাউসন হোউংবো।  

শুরুতেই তিনি স্বাগত বক্তব্য দেন। এরপর অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় সবাইকে ইফাদের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতিয়েরেস। এ সময় সংস্থাটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন তিনি।  

এরপরই মূল বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ হবে মূল চাবিকাঠি। আর বৈশ্বিক অংশদারিত্ব ও সহযোগিতা ছাড়া এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়।

উন্নয়ন অংশীদারদের আরো উদার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষুধা ও দরিদ্রতা নির্মূলে উন্নয়ন অংশীদারদের আরেকটু উদার হতে হবে। বিশ্ব এখন এটাই চায়। টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে আপনাদের আহ্বান জানাই।

বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা ভঙ্গুরতা কাটিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করেছি। আমরা আমাদের সামাজিক ও অর্থনীতির উন্নয়ন কৌশল প্রণয়ন করেছি। বিগত নয় বছর ধরে তা বাস্তবায়ন করেছি।

বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, সৌভাগ্যক্রমে উন্নয়ন অংশীদাররা আগ্রহ ও উদারতা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন এবং আমরা যৌথভাবে গর্ব করার মতো অগ্রগতি করেছি। আশা করছি, এ ধরনের অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
ইফাদে’র সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশা করি, ইফাদ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বে ইফাদে’র মডেল জাতিসংঘের অন্য সংস্থা ও সংগঠনগুলোর চেয়ে ভিন্ন। আশা করি, মানবকল্যাণে ভবিষ্যতেও এ ধারা বজায় থাকবে।

বৈঠকে পেরুর রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে দেশটির কৃষি ও সেচ মন্ত্রী জোসে বার্লি  আরিস্টা আর্বিডল উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য দেন।  

বৈঠকে ইফাদে’র পরবর্তী চেয়ারপারসন হিসেবে নেদারল্যান্ডসের হ্যানস হুগারভর্সটকে মনোনীত করা হয়েছে। আগামী দুই বছর গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।  

এ সময় বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন।  

১৯৭৪ সালে বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত আর্থিক সংস্থা হিসেবে ইফাদ গঠিত হয়। মূলত কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া এই সংস্থা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮/আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা
এমইউএম/এসআই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।