ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে রাজধানীতে

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৮
কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে রাজধানীতে শুক্রবার সকালে যানজটের এ চিত্র রাজধানীর এয়ারপোর্ট সড়ক থেকে তুলেছেন শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার রায় ও রায় পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীবাসীর মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা ও আতঙ্ক বিরাজ করেছিলো। রায় শুনতে খালেদা জিয়া আদালতে যাওয়ার পথে রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে সহিংসতার ঘটনাও ঘটে। ফলে ওইদিন রাজধানীর সড়কগুলো ছিলো প্রায় ফাঁকা।
 

তবে ‘শঙ্কিত’ পরিবেশ কাটিয়ে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য পরিবেশে ফিরেছে ব্যস্ততম এ নগরী। সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের চলাচল হয়েছে স্বাভাবিক।

কোথাও মানুষের মধ্যে কোনো ধরনের আতঙ্ক বা থমথমে পরিবেশ দেখা যায়নি।
 
শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, ফার্মগেট, মহাখালী, বনানী ও কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
 
সরেজমিন দেখা যায়, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও রাজধানীতে যান চলাচল ও কর্মচঞ্চল পরিবেশ বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবারের রায়কে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার কারণে যারা প্রয়োজনীয় কাজ সারতে ঘর থেকে বের হতে পারেননি, তারা আজ সে কাজ সারছেন।
 
এছাড়া এসব এলাকার শপিংমল, বাজার, খাবারের দোকান, চায়ের স্টল থেকে শুরু করে সব জায়গায় ছিলো মানুষের উপস্থিতি।
 
সড়কগুলোতে দেখা গেছে, সমান তালে চলছে গণপরিবহনসহ সব ধরনের ব্যক্তিগত যান। নগরীর অলিগলিতে ছিলে চিরচেনা আড্ডা।
 
এদিকে রায়কে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশ ও সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
 
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা রাজধানীতে বরদাস্ত করা হবে না। কেউ কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুত রয়েছে।

পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন এক নারী/ ছবি- ডি এইচ বাদলরাজধানীর সড়কে চলাচলকারী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রায়ের দিন তাদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করলেও আজ তারা স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছেন। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সজাগ রয়েছেন, বিএনপিও সহিংস কোনো আন্দোলনের ডাক দেয়নি।  
 
সিলেট থেকে সরকারি নার্স নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চৈতী এসেছেন ঢাকায়। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আজ অনেক চিন্তায় ছিলাম কি জানি হয়। কিন্তু এসে দেখলাম সবই স্বাভাবিক।
 
বিকাশ পরিবহনের একটি বাসে করে খামারবাড়ি থেকে মো. সুজন উত্তরা যাচ্ছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার একটি বড় ঘঠনা ছিলো, আজ সার্বিক পরিবেশ দেখে তা মনে হচ্ছে না। সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষ নিজের কাজে গন্তব্যে ছুটছেন। সরকার বিষয়টিকে ভালোভাবে সামলাতে পেরেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
 
এদিকে বিভিন্ন গণপরিবহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ তারা অন্যান্য দিনের মতোই গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছেন। অন্য ছুটির দিনের তুলনায় আজকে পরিবহনে যাত্রী কিছুটা বেশি বলেও তারা জানান।     
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯ ,২০১৮
এমএসি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।