ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রূপা গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৮
রূপা গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্তবাসে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল’ কলেজের শিক্ষার্থী রূপা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আদালতে ২৭ জনের সাক্ষী ও জেরা শেষ হয়েছে।

আদালত মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন। আগামী ২৮ জানুয়ারি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আদালত আসামি পরীক্ষার জন্য দিন ধার্য করেছেন।


টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় এ চাঞ্চল্যকর মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুর অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির পরির্দশক আদালতের সাক্ষির কাঠগড়ায় ওঠেন। পরে আসামীপক্ষের আইনজীবীরা তদন্ত কর্মকর্তাকে দুই ঘন্টাব্যাপী জেরা করেন।


এর আগে রোববার (২১ জানুয়ারি) তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দেন। পরে আসামিপক্ষের আইজীবীরা দুই দফায় চার ঘন্টাব্যাপী তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আংশিক জেরা করেন।


৩ জানুয়ারি বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রণ শুরু হয়। ২০ দিনের মধ্যে এ মামলায় জব্দ তালিকা সুরতাহাল রিপোর্ট, চারজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২৭ সাক্ষির সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত হয়।

 

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নাছিমুল আক্তার, তাকে সহায়তা করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী এস আকবর খান, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট এম এ করিম মিয়া ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, শামীম চৌধুরী দয়াল ও দেলুয়ার হোসেন।


উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।


রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে মরদেহের ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯)  গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে তারা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে। ৩১ আগস্ট রূপার মরদেহ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাঁরাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।