ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লাইসেন্স ছাড়া নলকূপ স্থাপন করলে জেল-জরিমানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
লাইসেন্স ছাড়া নলকূপ স্থাপন করলে জেল-জরিমানা

সংসদ ভবন থেকে: লাইসেন্স ছাড়া কৃষিকাজের জন্য নলকূপ স্থাপন করলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে সংসদে আইন পাস হয়েছে। ‘কৃষিকাজে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১৮’ নামে একটি আইন পাস করার প্রস্তাব করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

যদিও বিলটি জনমত যাচাই-বাছাইয়ের প্রস্তাব দেন বিরোধীদল জাতীয় পার্টির একাধিক সদস্য। তাদের প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে সংসদে আলোচনা করলেও কণ্ঠভোটে তাদের সেই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়।

পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে দিলে তা সর্বাধিক সদস্যের সমর্থনে পাস করা হয়।
 
জনমত যাচাই-বাছাইয়ের প্রস্তাবের আলোচনার জবাব দিতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আজকের আলোচনায় সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেছেন আমাদের পানির স্তর ক্রমেই নিচে নেমে যাচ্ছে। এভাবে কমতে থাকলে আমাদের পানির স্তর ভেদ করে গিয়েও একসময় পানি পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে। সেজন্য একটা জায়গায় থামতে হবে। সেই লক্ষ্যে সরকারের বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে। আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আইনটি যথাযথ করা হচ্ছে।
 
নলকূপ স্থাপনে লাইসেন্স নেওয়ার বিধান আগের অধ্যাদেশেও ছিল। প্রস্তাবিত আইনে লাইসেন্স ছাড়া নলকূপ স্থাপনে দণ্ড বাড়ানো হয়েছে। আগের আইনে লাইসেন্স ছাড়া কৃষির জন্য নলকূপ স্থাপনে আগে জরিমানা ছিল সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা। প্রস্তাবিত আইনে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা বা অনাদায়ে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড।

বিলে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নলকূপের লাইসেন্স স্থগিত ও বাতিল করতে পারবে। বিদ্যমান নলকূপগুলোকে সময় দিয়ে লাইসেন্স নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। এছাড়া যদি কোনো লাইসেন্স এক বছরের মধ্যে তিনবার স্থগিত হয়, তবে উপজেলা পরিষদ শুনানি করে তা বাতিল করতে পারবে বলেও বিলে বিধান রাখা হয়েছে। তবে আগের আইনের মতোই বিলে উপজেলা সেচ কমিটির বিধান রাখা হয়েছে। আইনটি পাস হলে উপজেলা পরিষদ থেকে লাইসেন্স ছাড়া কৃষিকাজের জন্য কোনো স্থানে কোনো নলকূপ স্থাপন করা যাবে না।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণ এবং পুষ্টি বিধানের লক্ষ্যে কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষিকাজে সেচ সুবিধা ও সেচ এলাকা সম্প্রসারণে পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। সেচ কাজে পানির অপচয় হ্রাস ও ভূ-গর্ভস্থ পানির সুপরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি ও শস্যের বহুমুখীকরণের জন্য আইনটি পাস করা হয়েছে।

**মানহীন মেডিকেলে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদনে আইনজীবী
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।