ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ছুটির দিনে জমজমাট সোনারগাঁ লোকজ উৎসব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৮
ছুটির দিনে জমজমাট সোনারগাঁ লোকজ উৎসব অনুষ্ঠানে গান গাইছেন শিল্পীরা/ছবি: বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ: সাপ্তাহিক ছুটির দিনে জমজমাট হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ জাদুঘরে আয়োজিত মাসব্যাপী লোকজ উৎসব ও কারুশিল্প মেলা।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরের পর থেকে অনেকেই মেলায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসতে দেখা গেছে।

ছুটির দিন উপলক্ষে সন্ধ্যায় মেলায় আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বাউল শিল্পী ও ফোক শিল্পীরা গান গাইছেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন দর্শনার্থীরা।

মেলার আগত দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেলার সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে তারা সন্তুষ্টু। মেলায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে মেলার ভেতরে ও বাইরে খাবারের দোকানগুলোর অস্বাভাবিক দাম নিয়ে দর্শনার্থীদের অভিযোগ সীমাহীন। বাস্তবেও স্বাভাবিক মূল্যের প্রায় তিন থেকে চারগুণ বেশি রাখছেন প্রতিটি খাবারের দোকানি।

মেলায় ঘুরতে আসা আকবর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আমি ছুটির দিন উপলক্ষে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এখানকার পরিবেশ খুবই ভালো লাগছে। তবে খাবারের দাম কয়েকগুন বেশি।  

ফাউন্ডেশন সূূত্রে জানা যায়, মেলায় কারুশিল্পী প্রদর্শনীসহ ১৮০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন পল্লী অঞ্চল থেকে আগত কারুশিল্পীরা মেলায় অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে নওগাঁ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি ও মুখোশ, চট্টগ্রামের তালপাতার হাতপাখা, রংপুরের শত রঞ্জি, সোনারগাঁওয়ের হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারু শিল্প, নক্শিকাঁথা, বেতের কারুশিল্প, মুন্সিগঞ্জের শীতল পাটি, ঠাকুরগাঁয়ের বাঁশের কারুশিল্প, কুমিল্লার তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও সিলেটের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারু পণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরা কোটা শিল্পসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার মৃৎশিল্প বিভাগের মাটির কাররুশিল্প এ মেলায় স্থান পাচ্ছে।

মেলায় গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম মাধ্যম ‘মৃৎশিল্পের প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন’ শিরোনামে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। ঢাকাসহ কয়েকটি অঞ্চলের শিল্পীরা এ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন।

এছাড়াও লোক কারু শিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে লোকজ নাটক, লোক কাহিনীর যাত্রাপালা, বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালি গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারি গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গাঁয়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তি-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোকখেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

লোকজ উৎসব প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৮
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।