ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দুর্বৃত্তদের কাছে মানবাধিকার পরাজিত হচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
দুর্বৃত্তদের কাছে মানবাধিকার পরাজিত হচ্ছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনেরপরিচিতি সভায় বক্তব্য রাখেন সুলতানা কামাল

ঢাকা: দুর্বৃত্তদের কাছে মানবাধিকার পরাজিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন স্বনামধন্য মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নতুন বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন- মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) পরিচিতি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সুলতানা কামাল বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে অধিকারের সঙ্গে মর্যাদা জড়িত রয়েছে।

অধিকার ছাড়া বাঁচা যায়, কিন্তু মর্যাদা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। অধিকার হারা হতে হতে মর্যাদা হারা হয়ে পরেছি। আমাদের ওপর যা কিছুই করা হোক, চাপিয়ে দেওয়া হোক,  আমরা তা মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা যে বোঝা না, স্বাধীন দেশের নাগরিক এই বোধটা হারাতে বসেছি। দুর্বৃত্তের কাছে ক্রমশ আত্মসমার্পণ করছি।

দুর্বৃত্তদের দখলে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা জোড় করে, ভাঙচুর করে, রাস্তা আটকে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে, তাদের কথা শুনছি। যারা যুক্তি দিয়ে মানবাধিকারের কথা বলছে তাদের কথা মানুষের কাছে পৌঁছায় না। অর্থাৎ দুর্বত্তদের কাছে পরাজিত হচ্ছি। ফলে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, নারী বিদ্বেষী, যারা আক্রমণ করে, অন্য ধর্ম বিশ্বাসীদের নিজ দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে চায়, তারা দেশকে দখল করে নিচ্ছে।

মানবাধিকার এ কর্মী বলেন, কোথায় যেন মানুষের মধ্যে মানবাধিকার সম্পর্কে উদাসীন- অবহেলা কাজ করছে। মানবাধিকার যে চর্চার বিষয় এ বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে না। সাফল্য, প্রতিষ্ঠা এ বিষয়গুলোতে মানবাধিকারের কোনো গুরুত্বই নেই।  

সুলতাকা কামাল বলেন, চর্চার অভাবে মানবাধিকার অবহেলিত হয়ে পড়েছে। এমনকি দেশে যারা মানবাধিকার চর্চা করতে চাচ্ছেন তারাও বিপদের মধ্যে রয়েছেন। মানুষ ক্রমশ কথা বলা বন্ধ করে দিচ্ছে, প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিপদে পরছে। বরং যাদের অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে তারা আরও বেশি বিপদে পরার ভয়ে প্রতিবাদ করছেন না।

মানবাধিকার চর্চা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান এ পরিস্থিতিতে আরও বেশি করে মানবাধিকার চর্চা করা উচিত। মানবাধিকারের বিষয়ে কথা বলা উচিত। আমরা আর কাজ করবো না, এটা হওয়া উচিত নয়। মানবাধিকার কর্মীদের থেমে যাওয়া উচিত হবে না। আরও দৃশ্যমান কাজ করা উচিত।

তার সংগঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে এ মানবাধিকার কর্মী বলেন, যারা সব মানুষের অধিকারে বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি তারা পিছিয়ে যাচ্ছি, আত্মসমার্পণ করছি। তবে এখনও কিছু মানুষ বিশ্বাস করে এভাবে দেশটাকে ছেড়ে দেওয়া যায় না, তাদের একত্রিত হতে হবে। তাদের নিয়ে এমএসএফ’র যাত্রা।  

এমএসএফ’র কর্মকাণ্ড সম্পর্ক মূলপ্রবন্ধ তুলে ধরেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান।

সংগঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ব্যক্তি পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের সংস্কৃতিতে মানবাধিকারের বোধ প্রতিফলিত করা।  

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, জাকির হোসেন প্রমুখ।  


** দেশে মানবাধিকার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়নি

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
এমসি/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।