ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

নির্বাচন আটকে গেলেও করপোরেশনের কাজে ক্ষতি হবে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
নির্বাচন আটকে গেলেও করপোরেশনের কাজে ক্ষতি হবে না খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফাইল ফটো)

ঢাকা: সীমানা নির্ধারণ সংশ্লিষ্ট জটিলতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাচন আটকে গেলেও করপোরেশনের কাজে কোনো রকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেছেন, নির্বাচন যাতে শিগগিরই হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশন সহযোগিতা চাইলে তাদের সঙ্গে বসা হবে।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) হাইকোর্টে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করে আদেশ দেওয়ার পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি কেবলই ম্যাসেজ পাইলাম। ইলেকশন কমিশন যে তফসিল ঘোষণা করেছিলো আইনি কোনো সমস্যার কারণে তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, আইনি সমস্যার বিষয়টি আমার কাছে এখনও পরিস্কার না।

‘আমি বাই দ্য বাই যা শুনলাম, ভোটার করা হয় নাই, সীমানাও ঠিক সেইভাবে নির্ধারিত হয় নাই। কিছু কিছু বেসিক বিষয়ে রিট হওয়ার কারণে বোধ হয় স্থগিত হয়েছে। স্থগিত হলেও কিন্তু আমাদের কোনো অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে না। ’

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়র সাব ইন্তেকালের পরেও প্রায়া ছয় মাস হয়ে গেলো। সিটি করপোরেশন ভালোভাবেই চলছে, ওখানে প্যানেল মেয়র মহোদয় আছেন, তিনি ভালোই চলাচ্ছেন।

মন্ত্রী বলেন, তবে এতো বড় একটা সিটি করপোরেশন, মেয়রের পদ তো খালি রাখা সম্ভব না। সংগত কারণেই ইলেকশনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কর্তব্য হচ্ছে, মেয়র পদটাকে শূন্য ঘোষণা করা এবং ইলেকশন কমিশনারে বলা এ পদটা শূন্য হয়েছে।

‘এখন ভোটার লিস্ট কিংবা সীমানা নির্ধারণ- এটা কিন্তু ইলেকশন কমিশনের কাজ। কোনো সহায়তা চাইলে আমরা তাদের সহায়তা করতে পারি। ইলেকশন কমিশন আমাদের কাছে কোনো সহায়তা চায়নি। ইলেকশন কমিশনের বক্তব্য তো আমি দিতে পারবো না। আইনগত কী ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিলো উনারাই বলতে পারবেন। ’

‘আমরা শুধু বলতে পারি যে, পোস্টটা ভ্যাকান্ট, এইটা ঘোষণা করছি। নির্বাচন করা যাইতে পারে এইটা আমরা ইলেকশন কমিশনে বলছি। ইলেকশন করা যাবে কি না যাবে, তাদের যে নির্ধারিত কতগুলো কাজ করার কথা সেগুলো তারা করছে কিনা না করছে সেগুলো কিন্তু এখনও আমি বলতে পারবো না। আর আমি পরিস্কার জানিও না কী কারণে স্থগিত হইলো। ’

মন্ত্রী বলেন, আমি যে কথাটা দেশবাসীকে আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই, এ নির্বাচন না হওয়ার কারণে উত্তর সিটি করপোরেশনের কাজ-কর্মে কোনো রকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মন্ত্রণালয় যদি কোনো ডিফসিয়েন্সি থাকে আমরা উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আছি এবং তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।

‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে যতো শিগগিরই সম্ভব, এ নির্বাচনটা যাতে হইতে পারে আমাদের যদি কোনো সহযোগিতার দরকার হয় আমরা অবশ্যই করবো একটা নির্বাচিত প্রতিনিধি, নির্বাচিত মেয়রের অধীনে সিটি করপোরেশনটা চলবে- এটাই জাতি যেমন প্রত্যাশা করে, মন্ত্রণালয়ও সেটা চায়। ’

নির্বাচন দেরি হলে কী করবেন- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমাদের আইনি প্রভিশন খুব ক্লিয়ার, প্যানেল মেয়র করা হয় ওই জন্য যে নির্বাচিত মেয়রের কাজটা চালানোর জন্য। তিনজনকে প্যানেল মেয়র হিসেবে নির্ধারণ করে। কাজেই কোনো অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে না, কোনো ভ্যাকুয়াম থাকবে না।

‘ইলেকশন কমিশনের আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে আমাদের মন্ত্রণালয়ের সহায়তার দরকার আছে, আমি দু’একদিনের মধ্যেই ইলেকশন কমিশনের সঙ্গে বসবো। যে কারণে স্থগিত হয়েছে সে কারণটা দূরীভূত করতে হলে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা কী, জানতে পারলেই আমাদের তরফ থেকেই সুনির্দিষ্ট যা করার করে দেবো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।