ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিচারাধীন মামলা ৩৩ লাখ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
বিচারাধীন মামলা ৩৩ লাখ

সংসদ ভবন থেকে: বর্তমানে দেশের বিভিন্ন আদালতে ৩৩ লাখ ৯ হাজার ৭৮৯টি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে পাঁচ বছর বা এর চেয়ে বেশি সময় ধরে চলমান মামলার সংখ্যা ৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৮৬টি। যার মধ্যে উচ্চ আদালতেই চলছে ২ লাখ ৯২ হাজার ২৩ মামলা। 

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তুম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, মামলা জট কমাতে বর্তমান সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে সফলতা এসেছে।


 
আনিসুল হক জানান, উচ্চ আদালতে বিচারাধীন ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৩১৫ মামলার মধ্যে আপিল বিভাগে রয়েছে ১৬ হাজার ৫৬৫ মামলা এবং হাইকোর্ট বিভাগে রয়েছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭৫০টি।  আপিল বিভাগের মামলাগুলোর মধ্যে ১১ হাজার ৩০৭ দেওয়ানি মামলা এবং ফৌজদারি মামলা ৫ হাজার ২৫৮টি। হাইকোর্ট বিভাগের মামলাগুলোর মধ্যে ৯৩ হাজার ১৭৪ দেওয়ানি মামলা ও ফৌজদারি ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৫টি।  

এছাড়া হাইকোর্টে ৭৬ হাজার ৭৭০টি রিট ও ৯ হাজার ১৭১টি আদিম দেওয়ানি মামলা বিচারাধীন। নিম্ন আদালতের মামলাগুলোর মধ্যে ১২ লাখ ৭৯ হাজার ১০৭ দেওয়ানি মামলা ও ফৌজদারি মামলা ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৭টি।
 
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, পাঁচ বছর বা এরচেয়ে বেশি সময় ধরে চলমান মামলার মধ্যে আপিল বিভাগে রয়েছে ১৮৯টি। যার ১৪৭টি দেওয়ানি ও ৪২টি ফৌজদারি মামলা। আর হাইকোর্টে রয়েছে ২ লাখ ৯১ হাজার ৮৩৪টি মামলা। অধস্তন আদালতে একই সময় ধরে চলমান ৬ লাখ ১ হাজার ২৬৩টি মামলার মধ্যে ৩ লাখ ২ হাজার ২২৩টি দেওয়ানি মামলা ও ফৌজদারি মামলা ২ লাখ ৯৯ হাজার ৪০টি।
 
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী দাবি করেন, সারাদেশের আদালতে মামলার জট কমিয়ে ‘বিচার কাজ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ’ নিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে।  

মন্ত্রী জানান, পুরনো মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিস্পত্তির লক্ষ্যে সলিসিটরের নেতৃত্বে মনিটরিং সেল কাজ করছে। প্রতি জেলায় কেস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। মামলা জট কমানোর জন্য সরকার আরো অধিক সংখ্যক বিচারক নিয়োগের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের ৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করে সেগুলোর জন্য ২০৫টি সহায়ক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।  

এছাড়া আরো ৫টি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, ৭টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল, ৮টি মানি লন্ডারিং ট্রাইব্যুনাল, ৩টি শ্রম আদালত, ১১২টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ১৫৯টি যুগ্ম জেলা জজ পদ, ১৯টি পরিবেশ আদালত, ৬টি পরিবেশ আপিল আদালত এবং ২১৪টি সহকারী জজ আদালত সৃজনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।