ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শেকৃবিতে দুই আঞ্চলিক গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৯

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
শেকৃবিতে দুই আঞ্চলিক গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৯ শেকৃবিতে দুই আঞ্চলিক গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৯

ঢাকা: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) দুই আঞ্চলিক গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় গ্রুপের কমপক্ষে নয়জন শিক্ষার্থী।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টা থেকে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল পযন্ত  ঢাকা গ্রুপ ও কুমিল্লা গ্রুপের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষে ঢাকা গ্রুপের ৪ জন ও কুমিল্লা গ্রুপের ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

আহতদের উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের সময় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের উভয় পক্ষ উভয় পক্ষের দু’টি কক্ষে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে।

ঢাকা আঞ্চলিক গ্রুপের নেতা তারিক নাজির সৈকত সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষের সময় নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলের ঢাকা গ্রুপের ৩টি কক্ষে ৮ শিক্ষার্থীকে আটকে রাখে কুমিল্লা গ্রুপের সদস্যরা। তালাবদ্ধের এ ঘটনায় সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকদের ফোন পেয়ে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর মহব্বত আলী ঘটনাস্থলে আসেন।  

পরে তাদের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে ৮ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে হলের ২০৩ নম্বর কক্ষে ৪ জন, ৩০৮ নম্বর কক্ষে ৩ জন ও ৫০৭ নম্বর কক্ষে ১ জন ছিলেন। এসময় ওই হলের প্রভোস্ট মো. ইছাক উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান তিনি।

তালাবদ্ধের বিষয়টি অস্বীকার করে কুমিল্লা আঞ্চলিক গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুদ্র নাথ টুটন বলেন, ঢাকা গ্রুপ নিজেরাই নিজেদের রুমে তালা লাগিয়েছে। এছাড়া আমাদের ওপর তারাই প্রথমে পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আমাদের গ্রুপের ৫ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

এদিকে ঢাকা আঞ্চলিক গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বিচার দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, কুমিল্লা গ্রুপ টিএসসিতে আমাদের ওপর আগে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। মধ্যরাত থেকে আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে কক্ষে রেখে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে রাখে ওই গ্রুপের নেতারা। আমরা এর বিচার চাই।


এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে বসে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংঘঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রক্টর ড. ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কি বিষয় নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায় নি। এ ঘটনায় ছাত্র উপদেষ্টাকে প্রধান করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।