ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মেট্রোরেল নির্মাণে ভোগান্তি কমিয়েছে ‘হার্ড ব্যারিয়ার’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৮
মেট্রোরেল নির্মাণে ভোগান্তি কমিয়েছে ‘হার্ড ব্যারিয়ার’ মেট্রোরেল কাজ চলছে। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণের ভোগান্তির কথা মনে হলে আঁতকে ওঠেন নগরবাসী। ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজের কারণে সড়কের ইট-সুরকি উঠে বহু জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হতো। এ কারণে যান চলাচলে হতো ভোগান্তি।

সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে মেট্রোরেল বা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) নির্মাণে একই ধরনের ভোগান্তি হবে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো জনমনে। নগরবাসী ভেবেছিলেন- ফ্লাইওভার নির্মাণের মতোই নতুন বিপাকে পড়তে যাচ্ছেন তারা।

কিন্তু মেট্রোরেল নির্মাণে সেই ভোগান্তি অনেকটাই কমিয়েছে ‘হার্ড ব্যারিয়ার’।   প্রকল্প বাস্তবায়নের নিরাপত্তা ও সড়ক ব্যবস্থাপনায় এটা ব্যবহার হচ্ছে। এর কারণে পল্লবী থেকে আগারগাঁও তালতলা পর্যন্ত তেমন কোনো ভোগান্তি নেই। হার্ড ব্যারিয়ার দেখতে অনেকটা কংক্রিট ও লোহার বেড়ার মতো।  হার্ড ব্যারিয়ারের কারণে ধুলাবালির অস্বাভাবিক অত্যাচার থেকেও মুক্তি পেয়েছেন নগরবাসী। মেট্রোরেল কাজ চলছে।  ছবি: জিএম মুজিবুরমিরপুর-১১ নম্বর মেইন রোডের পাশেই নান্দনিক খাবার ঘর।  মেট্রোরেল নির্মাণে কোনো ভোগান্তি নেই বলে জানান হোটেলটির মালিক আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, প্রথমে যা ভাবছিলাম তা হয়নি।  আমরা ভাঙা-চোরা সড়ক ও ধুলা থেকে মুক্তি পেয়েছি।  মেট্রোরেল কাজে বেড়া দেওয়ায় ধুলাবালি নাই, দুর্ঘটনাও নাই।  পুরো রাস্তা অন্যান্য রাস্তার মতোই পরিষ্কার।  রাস্তায় ধুলা নাই তবে কিছু জটলা আছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জটলা নিরসনে ২৪ ঘণ্টা ট্রাফিকের কাজে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতি কিলোমিটারে মোট ৯ জন জনবল শুধুই ট্রাফিকের কাজে নিয়োজিত।  শিফটিং অনুয়ায়ী তারা কাজ করছেন।  যাতে করে ‘হার্ড ব্যারিয়ার’ ঘিরে জটলা তৈরি না হয়।

মিরপুর বেনারশি পল্লীর সামনে হার্ড ব্যারিয়ারের কাছে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন তারেক সরদার। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বেড়া ঘিরে রাত দিন ডিউটি করি, যাতে যানজট না হয়।  বেড়াতে অনেক উপকার হয়েছে।  প্রকল্পের কাজের সময় কেউ গাড়ি উঠিয়ে দিতে পারে না। নিরাপদে কাজ করা যায়।  ধুলাবালিও কম ছড়ায়।

ঢাকা শহরে প্রকল্প বাস্তবায়নে হার্ড ব্যারিয়ারের ব্যবহার এটাই প্রথম।  মেট্রোরেলের মূল পাইলিং দৃশ্যমান হলেই সরবে হার্ড ব্যারিয়ার।  জনভোগান্তি নিরসন ও নিরাপদে প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্যান্য প্রকল্পেও হার্ড ব্যারিয়ার ব্যবহার করা উচিত বলে মনে করে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।

হার্ড ব্যারিয়ার ব্যবহার প্রসঙ্গে মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল) আব্দুল বাকি মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, হার্ড ব্যারিয়ারে নিরাপদে কাজ করা যাচ্ছে।  সড়কের ক্ষতিও কম।  এক কথায় জনগণের ভোগান্তি কমেছে।  ঢাকায় হার্ড ব্যারিয়ার ব্যাবহারের ঘটনা এটাই প্রথম।  আমি মনে করি সড়কের সব ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে আইকন হতে পারে হার্ড ব্যারিয়ার।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি, ২০১৮
এমআইএস/এসএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।