ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিজয় দিবসে বরিশালে বিভিন্ন কর্মসূচি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
বিজয় দিবসে বরিশালে বিভিন্ন কর্মসূচি বিজয় দিবসে বরিশালে বিভিন্ন কর্মসূচি

বরিশাল: ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে বরিশালে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

বিজয় উৎসবকে ঘিরে এরইমধ্যে বরিশাল নগরের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। লাগানো হয়েছে রাজনৈতৈক নেতাদের ব্যানার ফ্যাস্টুন।

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শোভা পাচ্ছে বাহারি রঙের আলোকসজ্জা।

১৩ ডিসেম্বর থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরু হয়েছে সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে চারদিন ব্যাপী মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালা। প্রতিদিন বিকেল থেকে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, আবৃত্তি, নৃত্য, সংগীত, গীতি আলেখ্যা ও নাটক।

অপরদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। যারমধ্যে প্রথমে রয়েছে ১৬ ডিসম্বর সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের শূভ সূচনা করা হবে।

সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সকাল ৭টা ১০ মিনিট ত্রিশ গোডাউন সংলগ্ন বধ্যভূমি অভিমুখে পদযাত্রা ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে।

এদিকে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি-বেসরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, ব্যাক্তি মালিকানাধীন ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

এছাড়াও সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী করা হবে। সকাল ১০টায় অভিরুচি সিনেমা হলের নিচতলায় ছেলেদের ও দ্বিতীয় তলায় মেয়েদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র দেখার ব্যবস্থা রাখা হবে। একই সঙ্গে বেলা ১১টায় শহরের বগুরারোডস্থ জীবনানন্দ দাশ স্মৃতিপাঠাগার ও ক্লাবে  শিশুদের দেশাত্মবোধক গান ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

বেলা সাড়ে ১১টায় মহিলা ক্লাবে জেলা পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন, মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করা হবে। বাদ জুম্মা জাতীয় শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনায়ও স্থানীয় সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং সুবিধাজনক সময়ে অন্যান্য সব মন্দির গির্জা ও উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।  

দুপুরের দিকে বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, সরকারি শিশু সদন, দুস্থ নারীদের আশ্রয়কেন্দ্রসহ অনুরুপ প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

দুপুর আড়াইটায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নারীদের জন্য ক্রিড়া অনুষ্ঠান ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বনাম জেলা প্রশাসনের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

অপরদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অশ্বিনী কুমার হলে সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার এবং মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে বিজয়ের দিনে দুপুর ১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বরিশাল বিআইডব্লিউ ঘাটে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর জাহাজ সবার জন্য উম্মুক্ত থাকবে।  

বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে ও সপ্তম বারের মতো মুক্তিযুদ্ধের তথ্য ও দলিলপত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এ প্রদর্শনীর সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে জেলা প্রশাসন।

এছারাও বরিশাল জেলা ও ১০ উপজেলা প্রশাসন, বরিশাল সিটি করপোরেশন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল বিএম কলেজসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বিভিন্ন রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ অন্যান্য সংগঠন দিনব্যাপী বিজয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
এমএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।