ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঝালমুড়ির পাশাপাশি জাতীয় পতাকা বিক্রি 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
ঝালমুড়ির পাশাপাশি জাতীয় পতাকা বিক্রি  পাতাকা বিক্রেতা আবুল হোসেন মিল্টন

দিনাজপুর: বছরজুড়ে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন আবুল হোসেন মিল্টন। কিন্তু বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বিক্রি করছেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও ব্যান্ড ব্যাজ। আনন্দের সঙ্গে তার কাছ থেকে এগুলো কিনে নিচ্ছেন দেশপ্রেমী মানুষেরা। 

মিল্টনের বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলার ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের তরিমপুর গ্রামে। শহরের পুলহাট নতুন বাজার এলাকায় মুড়ি মশলা বিক্রি করেন।

আর ওই ব্যবসার প্রসার ঘটে ডিসেম্বর এলেই।  

পুরো ডিসেম্বর মাস জুড়ে  মুড়ির পাশাপশি জাতীয় পতাকা ও ব্যান্ড ব্যাজ বিক্রি করেন মিল্টন। আর তার কাছে জাতীয় পতাকা ও ব্যান্ড ব্যাজ কিনতে ছুটে আসেন দেশ প্রেমীরা।

পতাকা ও ব্যান্ড ব্যাজ কিনতে আসা শহরের কসবা এলাকার আবু রায়হান নামের যুবক বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর বিশেষ দিন গুলোতে যেমন, সামনে আসছে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। এই দিনটিতে জাতীয় পতাকা উড়বে আকাশে আর কপালে স্বাধীনতার চিত্র সম্বলিত ব্যান্ড ব্যাজ লাগিয়ে ঘুড়তে মজাই আলাদা। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস-আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মতো দিন গুলোতে এই মুড়ি মশলার দোকানে জাতীয় পতাকা ও ব্যান্ড ব্যাজ বিক্রি হয়।  

এখানে দীর্ঘদিন থেকে এই বিশেষ দিন গুলোতে জাতীয় পতাকা ও ব্যান্ড ব্যাজ বিক্রি করায় আশপাশের মানুষেরা সকলেই জানেন। এজন্য বছরের বিশেষ দিনগুলোতে স্থানীয়রা দুরে না গিয়ে এখান থেকেই জাতীয় পতাকা ও ব্যান্ড ব্যাজ কিনেন। এবার আগে ভাগেই পতাকা ও ব্যাজ কিনে ফেলছি। গত কয়েক বছর মিল্টনের মুড়ির দোকানে প্রচন্ড ভিড়ের কারণে কিনতে পারিনি।  

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে দিনাজপুর শহরের পুলহাট নতুন বাজার এলাকায় দেখা মেলে মিল্টনের।  
কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, গত প্রায় ১৫ বছর থেকে এখানে মুড়ি মশলা দিয়ে মিশ্রণ করে বিক্রি করে আসছি। বছরের বিশেষ দিন গুলোতে এখানে জাতীয় পতাকা ও ব্যান্ড ব্যাজ বিক্রি করি। বিজয়ের প্রতীক জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে অনেক ভালো লাগে। জাতীয় পতাকা ও ব্যান্ড ব্যাজ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করাটাই বড় কথা নয়। মূলত জাতীয় পতাকা প্রতিটি মানুষের কাছে পৌছে দেওয়াটাই মূল উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে জেলার বাহির থেকে জাতীয় পতাকা ও ব্যান্ড ব্যাজ কিনে আনতে হতো। বর্তমানে দিনাজপুর শহরেই জাতীয় পতাকা ও ব্যান্ড ব্যাজ তৈরি করে পাইকারি দরে বিক্রি করছে। ডিসেম্বর মাসে মুড়ি-মশলার পাশাপাশি জাতীয় পতাকা বিক্রি করে অতিরিক্ত টাকা উপার্জন হয়।  

স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে মিল্টনের পরিবার। ছেলে এবার স্থানীয় কেবিএম কলেজ থেকে এইচ এসসি পরীক্ষা দেবে। মুড়ি মশলা বিক্রি করেই সংসার চলে। মিল্টনের ইচ্ছা কষ্ট করে হলেও ছেলেকে উচ্চ শিক্ষিত করার।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।