ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আইনের চেয়ে সচেতনতা জরুরি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আইনের চেয়ে সচেতনতা জরুরি নারীর ক্ষমতায়ন ও বাল্যবিয়ে রোধ’ শীর্ষক সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সিরাজগঞ্জ: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাল্যবিয়ে রোধে কার্যকরী আইন রয়েছে। তবে আইন থাকা যতটা জরুরি, জনসচেতনতা তার চেয়ে বেশি জরুরি। সবাই মিলে জনসচেতনতা তৈরি করে বাল্যবিয়ে মুক্ত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‌`নারীর ক্ষমতায়ন ও বাল্যবিয়ে রোধ’ শীর্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্পিকার বলেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ শুধু মা-বোনদের একার বিষয় নয়, আমরা যদি আমাদের মেয়েদের শিক্ষিত করতে পারি তাহলে জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ শিক্ষিত হবে।

একজন মা শিক্ষিত হলে, পরিবার শিক্ষিত হয়। একটি পরিবার থেকে একটি সমাজ জাতি সবাই শিক্ষিত হয়। কাজেই নারী উন্নয়ন কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে অবশ্যই এগিয়ে নিতে হবে। এ উপলব্ধি থেকেই সরকার নারী শিক্ষা, নারীদের স্বাস্থ্যসেবার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের অগ্রগতির জন্য অনেক কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। নারী শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

নারীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় আনতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী- যোগ করেন স্পিকার।

স্পিকার বলেন, বাল্যবিয়ের অনেক কারণ আছে। সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ নানা কারণেই বাল্যবিয়ে হচ্ছে। এ কারণগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো দূরীভূত করতে হবে। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় আমাদের সংসদ সদস্যরা বড় বড় সভা সমাবেশের পাশাপাশি ছোট ছোট ওঠোন বৈঠক আর মায়েদের নিয়ে সভায় সবাইকে সম্পৃক্ত করে চালিয়ে যাচ্ছে এতে আমরা সুফল পাচ্ছি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা বাল্যবিয়ে মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ উন্নত হচ্ছে। এ উন্নয়ন প্রতিটি উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে ছড়িয়ে গেছে। জাতির জনকের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, এটি এখন বাস্তবতা। সব সরকারি সেবা ডিজিটাইলজড করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব করা হয়েছে। স্কুল-কলেজে তথ্য-প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মীর শহিদুল ইসলাম পুন্যর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন এমপি, তানভীর ইমাম এমপি, সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি, নারী নেত্রী মাহি ইমাম, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মারুফ বিন হাবিব, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য রিবলি ইসলাম কবিতা প্রমুখ।

সমাবেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাক-শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।