ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বিনম্র শ্রদ্ধা

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বিনম্র শ্রদ্ধা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে মানুষের শ্রদ্ধা/ ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: সবার হাতে ফুলের তোড়া। অনেকের কাছে আছে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে লেখা কালো ব্যানারও। উদ্দেশ্য একটাই, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের স্মরণ করতে আসা সাধারণ মানুষ এবার স্বপ্ন দেখছেন একটি আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। তারা বলছেন, এবার আর আক্ষেপ নয়, পেছনে তাকানো নয়, এখন সময় সামনে এগিয়ে যাওয়ার।

স্বজন হারানোর বেদনায় আচ্ছন্ন মন আর বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের রায় কার্যকরের স্বস্তি এবার তৈরি করেছে এক ভিন্ন আবহ। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস জানিয়ে সচেতন নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান ছিল তাদের সন্তানদের।

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে এসে শহীদ পরিবারের সন্তানরা বলেন, দেশের প্রতি ত্যাগের মাধ্যমেই বড় হওয়া যায়, এটাই তারা শিখিয়েছেন।

বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রায়ের বাজারের বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে সকালে মানুষের ঢল নামে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বধ্যভূমির আদলে মানব ভাস্কর্য রচনা করে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর।

শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছোট ছেলে আসিফ মুনীর বলেন, খুব বেশি লেখা বই নেই, যেখানে আমাদের ছোটরা নিহত বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে জানতে পারবে। শুধু ফেসবুকিং করে ভালো মানুষ হওয়া যায় না। যারা এদেশ এনে দিয়েছে, তাদের সম্পর্কে না জানলে কী করে এরা জাতির হাল ধরবে!

শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর ছেলে তানভীর হায়দার চৌধুরী বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত অনেকের বিচারের রায় কার্যকরের ফলে স্বস্তি বোধ করছি। তবে এখনো পলাতক রয়েছে অনেকে।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দুই দিন আগে বুদ্ধিজীবী হত্যায় প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরা। শরীরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজারে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসা জনতার ঢল নামে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে জনতার স্রোত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।