ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনলো শিক্ষার্থীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনলো শিক্ষার্থীরা বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনলো শিক্ষার্থীরা-ছবি-বাংলানিউজ

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনলো শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনের বধ্যভূমিতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার কামরুজ্জামান বাবু শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের গণহত্যা ও নির্যাতনের গল্প শোনান। 

‘বিজয়ের মাসে এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্পশুনি’ শীর্ষক এই কর্মসূচির আয়োজন করে সাতক্ষীরা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।  

এসময় মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান বাবু স্মৃতিচারণ করে বলেন, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সেসময় ছিল বাঙালিদের আশ্রয়স্থল।

বাঙালিরা এখানে আশ্রয় নিয়ে বর্ডার ক্রস করতো। এই স্কুলে সাত-আটশ লোক আশ্রয় নিয়েছে বলে পাকিস্তানি সেনারা জানতে পারে। তারপর হানাদার বাহিনী এসে তাদের আটক করে। আটকদের দিয়েই স্কুলের পেছনের এই জায়গায় গর্ত খুঁড়ে নেয়। পরে নিরীহ বাঙালিদের নির্যাতন ও কুপিয়ে হত্যার পর এই গর্তেই মাটা চাপা দেওয়া হয়। এই স্কুলেই পাক সেনারা টর্চার সেল স্থাপন করে।  

তবে এই গণকবর সংরক্ষণে আজও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।  

এ সময় আরও বক্তব্য দেন-মুক্তিযোদ্ধা হাসানুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা হাসানুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লাইলা পারভিন সেজুতি, জোসনা আরা, সাতক্ষীরা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, বাহলুল করিম, নূরুল হুদা, আব্দুর রহিম, মাহিদা মিজান, ফজলুল হক প্রমুখ।

এই কর্মসূচিতে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, সিটি কলেজ, ডে-নাইট কলেজ, পল্লীমঙ্গল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।  

এসময় মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষার্থীরা সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বধ্যভূমিটিসহ জেলার সব বধ্যভূমি সংরক্ষণের দাবি জানান।  

পরে তরুণ প্রজন্মসহ উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা এই গণকবরে বধ্যভূমির সাইন বোর্ড স্থাপন করেন এবং তরুণ প্রজন্মের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
আরআর 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।