ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাঘায় স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
বাঘায় স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের আবদুল মান্নান (৪৮) ও তার স্ত্রী কাজলী আক্তার রুমি (৪৪)।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে।

নিহত আব্দুল মান্নান পেশায় ভ্যান চালক ও তার স্ত্রী কাজলী গৃহিনী ছিলেন।

তাদের মরদেহ বর্তমানে বাঘা থানায় রাখা হয়েছে। তবে দুপুরের মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর কথা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের আবদুল মান্নান ও তার স্ত্রী কাজলী আক্তার বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে কাজলী হঠাৎ চিৎকার দিয়ে ওঠেন।

এরপর পাশের ঘর থেকে আবদুল মান্নানের মা আফরোজা বেগম ও ছেলে সাব্বির হোসেন গিয়ে দেখেন কাজলী বেগমের অবস্থা বেগতিক। এ সময় তাকে উদ্ধার করে বাঘা থানা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে এ ঘটনার পর থেকে আবদুল মান্নানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পাশে একটি লিচু বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় আবদুল মান্নানের মরদেহ দেখতে পায় গ্রামবাসী। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং সুরতহাল শেষে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

জানা যায়, আবদুল মান্নান ও কাজলী বেগমের দুই ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে রিশন আহম্মেদ (১৮) লালপুরে নানার বাড়ি থেকে মঞ্জিলপুকুর কলেজে লেখাপড়া করে। ছোট ছেলে সাব্বির হোসেন (১৩) উপজেলার কালিদাসখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

ছোট ছেলে সাব্বির হোসেন জানায়, তার দাদা রয়েদ আলী ৩৮ দিন আগে মারা যান। দাদার চেহলামে গ্রামের প্রায় দেড়শ’ লোককে দাওয়াত করা হয়। কিন্তু এর টাকা যোগার হয়েছিলো না। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন থেকে তার বাবা-মায়েরে সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলছিলো। এরই জের ধরে বাবা প্রথমে তার মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হাসান রেজা বাংলানিউজকে বলেন, মান্নান-কাজলি দম্পতির মৃত্যু অস্বাভাবিক। তবে নিহতদের ছেলে দাবি করেছে, তার মাকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার বাবা আত্মহত্যা করেছে।  

প্রাথমিকভাবে পুলিশেরও ধারণা স্ত্রীকে হত্যার পরই স্বামী লিচু গাছের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এর পরও ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

নিহতদের মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় থানায় মামলা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এসএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।