ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ডিএনসিসি নির্বাচনে দল ও দলের বাইরের সম্ভাব্য প্রার্থী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
ডিএনসিসি নির্বাচনে দল ও দলের বাইরের সম্ভাব্য প্রার্থী উপরের বাঁ থেকে ডাক্তার এইচ বি ইকবাল ও একেএম রহমতউল্লাহ/নিচে বাঁ থেকে আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, তাবিথ আউয়াল ও আবেদ মনসুর

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই চূড়ান্ত করা হবে মেয়র প্রার্থী। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত এমনই। তবে আনিসুল হকের স্থানে কে হতে পারেন নতুন নগর পিতা তা নিয়ে জল্পনা-আলোচনার শেষ নেই। এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনে বক্তব্য আসেনি আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি থেকে। 

দল থেকে যে সিদ্ধান্তই আসুক মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অনেকেই সরব। কেউ কেউ তাদের নিজস্ব গণ্ডিতে প্রচারণাও শুরু করেছেন।

তবে মাঠে মেয়র প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তা কেবলই গুঞ্জন বলছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তাদের মতে, জনপ্রিয়তা যাচাই করে যোগ্য ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে। আর বিএনপি থেকে ফের শোনা যাচ্ছে তাবিথ আউয়ালের নাম। কোনো দলের সক্রিয় সদস্য বা নেতা নন এমন প্রার্থীও রয়েছে তালিকায়। নাম শোনা যাচ্ছে আনিসুল হকের পরিবারের সদস্যদেরও।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকে। দলের পদে থাকা নেতার সংখ্যাই বেশি। একের পর এক নাম আসছে। বিষয়টি নিয়ে দলটির শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা শুরু হলেও কোনো সিদ্ধান্তের আভাস এখনও মিলছে না।

এখন পর্যন্ত যাদের নাম আলোচনায়, এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের পরিবার ছাড়া বাইরেও কয়েকজন রয়েছেন। আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, সাবেক এমপি ডাক্তার এইচ বি ইকবাল, এয়ারপোর্ট রোডের বিউটিফিকেশন কাজের দায়িত্বে থাকা ভিনাইল ওয়ার্ল্ডের সিইও আবেদ মনসুর।

মেয়র আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করা এবং নগরীর উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে যোগ্য ব্যক্তিকেই এ পদে মনোনয়ন দিতে চায় আওয়ামী লীগ। এক্ষেত্রে রাজনীতির ভেতর বা বাইরে থেকে গ্রহণযোগ্য কাউকে প্রার্থী করেত চায় দলটি।

এ পর্যন্ত নাম যাদের এসেছে তার মধ্যে কেবল আবেদ মনসুর আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কোনো পদে নেই। পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ও ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে থাকলেও এখন ব্যবসায়ী। বিমানবন্দর সড়কে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নিজস্ব অর্থে আলোচিত সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করছেন তিনি। ঢাকা উত্তরকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়ে তিনিও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান।

এছাড়া আরও অনেকের নাম শোনা গেলেও আপাতত আলোচনায় আছেন এই ক’জন।  

আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা থাকায় আগামী ১ মার্চের মধ্যেই এ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
এসএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad