ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ঢাকার রাস্তা নামকরণের দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ঢাকার রাস্তা নামকরণের দাবি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করছেন অতিথিরা। ছবি: ডিএইচ বাদল/বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানী ঢাকার রাস্তারগুলোর নাম শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণের দাবি জানিয়েছেন জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধার নামে সড়কের নামকরণ করতে কোনো টাকা-পয়সা লাগে না। এ জন্যে উদ্যোগ প্রয়োজন। 

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ‘বিজয় দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ দাবি জানান একাত্তরের বীর সেনানীরা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীতে বসবাসকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের জন্য এ সংবর্ধনা এবং পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শুরুতে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) কেএম সফিউল্লাহ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।  

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ওসমান গনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।  

এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান শহীদ, আমীর হোসেন মোল্লা, মোশাররফ হোসেন, গোলাম রহমান ও রঞ্জন বিশ্বাস একাত্তরের যুদ্ধের স্মৃতি  বর্ণনা করেন।  

ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় বীর সেনানীদের।  ছবি: ডিএইচ বাদলজাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মৃত্যুকে মুক্তিযোদ্ধারা কোনো সময় ভয় পাননি। তাদের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া উচিত। জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করেছেন তারা। তাদের সম্মানে ঢাকার রাস্তারগুলোর নাম মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ প্রয়োজন। এত নতুন প্রজন্মের কাছে বেঁচে থাকবেন তারা। এ উদ্যোগের জন্য বাড়তি কোনো টাকা-পয়সার প্রয়েঅজন নেই, প্রয়োজন উদ্যোগের।  

এ সময় বেশ কিছু দাবি ধাওয়া তুলে ধরেন একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধারা। এরমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের ১৫০০ স্কোয়ার ফিট ফ্ল্যাটের হোল্ডিং টেক্স মওকুফ, মুক্তিযোদ্ধার জন্য কবরস্থানে জায়গা বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য।  

এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন হলেও অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল তা পরিণত হয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের গুণকীর্তন। বিভিন্ন বক্তব্য ও প্রচারণায় সাঈদ খোকনের প্রচার ও সফলতার বর্ণনা করা হয়।  

অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান করে দেখা যায়, গৌরব ও স্বাধীনতার ৪৭ বছর বিষয়ক প্রমাণ্য চিত্রের অধিকাংশ জুড়েই ছিল দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সফলতার বর্ণনা। দুই সিটি করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে হলেও আয়োজনেরও মোনাজাতে শুধু দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কথাই বলা হয়েছে।  

উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বাংলানিউজকে বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশন সম্পর্কেও এমন একটি প্রামাণ্যচিত্র চালানো উচিত ছিল। কারণ কিছুদিন আগেই উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হক মারা গেছেন। উত্তরের উন্নয়ন উদ্যোগে তারও অবদান রয়েছে।  

বক্তব্য দেওয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন মোল্লা বিষয়টি বেশ জোরালো ভাবেই বলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
কেজেড/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ