ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পায়রার মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে যৌথ কোম্পানি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
পায়রার মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ে যৌথ কোম্পানি চুক্তিপত্রে সই করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর জাহাঙ্গীর আলম এবং জান ডি নুল’র এমডি জান পিটার ডি নুল

ঢাকা: দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর ‘পায়রা’র মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের কাজ বাস্তবায়ন করবে যৌথ কোম্পানি। এ লক্ষ্যে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি ‘জান ডি নুল’ একটি যৌথ কোম্পানি গঠন করবে। 

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর এক হোটেলে এ সংক্রান্ত চুক্তিপত্র সই হয়। এতে সই করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর জাহাঙ্গীর আলম এবং জান ডি নুল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জান পিটার ডি নুল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য মাহবুবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের  ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুস সামাদ, দিল্লিতে বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত জান লুইক্স।

চুক্তিপত্র অনুযায়ী, ৩৬.৫ নটিক্যাল মাইল চ্যানেলের প্রথম পর্যায়ে টার্নিং বেসিনে ৯ মিটার এবং টার্মিনাল এলাকায় ১১ মিটার  গভীরতায় ড্রেজিংয়ের জন্য প্রাক্কলিত প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩২.৪৩ মিলিয়ন ইউরো। সার্বিকভাবে চ্যানেলের প্রশস্ততা হবে টার্নিং বেসিনে ১২৫ মিটার এবং টার্মিনাল এলাকায় ৪০০ মিটার। প্রথম পর্যায়ের ড্রেজিং শেষে ১১ মিটার গভীরতার জাহাজ মূল বন্দরে প্রবেশে সক্ষম হবে। ভবিষ্যৎ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২ মিটার এবং তৃতীয় পর্যায়ে ১৪ মিটার গভীরতার জাহাজ মূল বন্দরে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হবে।

কোম্পানি গঠনের শেয়ার হবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৫১ শতাংশ এবং জান ডি নুল’র ৪৯ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর। প্রাক্কলিত ইক্যুইটি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ৫৪.৩১ মিলিয়ন ইউরো, জান ডি নুল ৫২.১৮ মিলিয়ন ইউরো।

২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় লালুয়া ইউনিয়নে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে পায়রা বন্দরের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২০১৬ সালের  ১৩ আগস্ট পায়রা বন্দরের বহিঃনোঙ্গর থেকে পণ্য খালাসের মাধ্যমে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

২০১৬ সালের ২৫ মে ঢাকায় পায়রা সমুদ্র বন্দরের মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের জন্য পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জান ডি নুল এর মাঝে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।  

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, পায়রা বন্দরের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়াতে ১৯টি কম্পোন্যান্টের সবক’টির উন্নয়ন কার্যক্রম একইসঙ্গে গ্রহণ করা জরুরি। এ লক্ষ্যে ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন হলে পায়রা বন্দর সংশিষ্ট সব প্রকল্পের উন্নয়ন কার্যক্রম বেগবান হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল এর মাধ্যমে ড্রেজিং কার্যক্রম করা হলে বিশ্বের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা থাকবে।  

মন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে পায়রা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে ১১টি জাহাজ বহিঃনোঙ্গরে এসেছে। এতে সরকারের রাজস্ব এসেছে ১৮ কোটি টাকা; আর পায়রা বন্দর আয় করেছে এক কোটি ৮৮ লাখ টাকা।  

২০২০ সালের মধ্যে পায়রা বন্দরে একটি কয়লা/বাল্ক টার্মিনাল ও একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল চালু হবে বলেও জানান মন্ত্রী।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।