ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ট্রেন বিলম্বে যাত্রীদের ভোগান্তি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৭
ট্রেন বিলম্বে যাত্রীদের ভোগান্তি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা-ছবি--শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ‘লালমনিরহাট এক্সপ্রেস আসার কথা রাত ১০টা ৪২ মিনিটে। এখন রাত ১টা ৫০ বাজে। কিন্তু দেখা মেলেনি ট্রেনের। আর কতক্ষণ ট্রেনের জন্য বসে থাকবো।’ প্রচণ্ড ক্ষোভ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন রাবেয়া বেগম।

কোথায় যাবেন জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, লালমনিরহাট যাবো। কোলে ছোট সন্তান।

এভাবে কী ৩-৪ ঘণ্টা বসে থাকা যায়। ট্রেন কখন আসবে সেটা কেউ বলতে পারে না. আবার আসবে কিনা সেটাও নিশ্চিত নয়। কখন যে আসবে ট্রেন।  

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে এয়ারপোর্ট রেল স্টেশনে নিয়ে ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তির এমন চিত্র দেখা গেছে।

মো. সাইফুল যাবেন চট্টগ্রামে। ট্রেন আসার কথা রাত ৯টা ৩২ মিনিটে। কিন্তু রাত দেড়টা পেরিয়ে গেলেও দেখা মেলেনি মহানগর এক্সপ্রেসের। তিনি বলেন, রাত ৯টার পরে স্টেশনে এসেছেন। কিন্তু সাড়ে ৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও ট্রেন আসেনি। বৃদ্ধ মা বসে থাকতে না পেরে ঘুমিয়ে গেছেন। এভাবে কি আর বসে থাকা যায়। এর মিনিট দশেক পরে ১টা ৪০ মিনিটে ট্রেন আসায় কিছুটা স্বস্তি নিয়ে পরিবারসহ চেপে বসলেন ট্রেনে।

ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে গেছেন এক যাত্রী-ছবি-শাকিল আহমেদমাথার নিচে ব্যাগ দিয়ে স্টেশনের চেয়ারে ঘুমিয়ে আছেন সোহানুর রহমান। কখন ট্রেন বলতেই তড়িঘড়ি করে উঠে বললেন, আর বলবেন না। সাড়ে ৯টার ট্রেন। মনে হয় আজ আর আসবে না। কতক্ষণ বসে থাকবো। তাই একটু ঘুমিয়ে নিলাম। স্টেশন মাস্টারের রুমে গেলাম। বলে আরও দেরি হবে।

শুধু রাবেয়া বেগম, সাইফুল কিংবা সোহানুর রহমান নয় বিমানবন্দর রেল স্টেশনে শত শত মানুষের ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে। যাদের অধিকাংশই সময়মতো স্টেশনে ট্রেন না আসায় ঘরে ফেরা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন।

ট্রেন বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার বাংলানিউজকে বলেন, ব্রহ্মপুত্র, হাওড়, মহানগর এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট এক্সপ্রেস সবই বিলম্বে স্টেশন ছেড়েছে। জামালপুরের পিয়ারপুরে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত আর মহানগর এক্সেপ্রেসের ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ার কারণে দেরি হয়েছে। এখানে আমাদের কিবা করার আছে। ট্রেন যখন আসবে আমরা তখনই যাত্রীদের জানাই।  

বাংলাদেশ সময়: ০৪৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
এসজে/আরআর


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।