ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে হচ্ছে রাজউক অফিস, শঙ্কা ভুক্তভোগীদের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৭
নারায়ণগঞ্জে হচ্ছে রাজউক অফিস, শঙ্কা ভুক্তভোগীদের

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস না থাকার কারণে অনেক গ্রাহক দিনের পর দিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এমন অভিযোগ নিয়ে পাল্টা বক্তব্যও এসেছে। 

ভুক্তভোগীদের দাবি, নারায়ণগঞ্জে রাজউকের অফিস হলে বরং ভোগান্তি আরো বাড়বে। কারণ এখনই রাজউক অফিসে মাসের পর মাস কোনো কারণ ছাড়াই ফাইল পড়ে থাকে।

আর টাকা হলে দ্রুত নড়ে।  

নারায়ণগঞ্জে রাজউক অফিস হলে তখন ঢাকার দোহাই দিয়ে আরো ভোগান্তি বাড়বে। যদিও রাজউক বলছে, নারায়ণগঞ্জে হলে এ জনপদের মানুষের উপকার হবে।

জানা গেছে, এক সময়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় ভবন নির্মাণের অনুমতি মিলতো নগর ভবন থেকে। তবে ২০১০ সালে উচ্চ আদালতে একটি রিটের পরে আদালতের নির্দেশে সিটি করপোরেশন এলাকার ভবনের অনুমতি দিচ্ছে রাজউক।  


এ নিয়ে ইতোমধ্যে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, রাজউক এখন ভবনের অনুমতি দেওয়ায় অপরিকল্পিত ভাবে শহরে ভবন হচ্ছে। কোনো ধরনের তদারকি না করার কারণে শহরের পরিকল্পনা বিনষ্ট হচ্ছে।

এদিকে সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে ফতুল্লা জোনে ভবনের অনুমতি নিতে বেশ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, গত ৮ মাস ধরে তিনি রাজউকের অনুমতির জন্য ঘুরছেন। নারায়ণগঞ্জ জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশীষ কুমার সাহার সঙ্গে ভুক্তভোগী গত ২৩ নভেম্বর দেখা করলে তিনি ২ দিনের মধ্যে ফাইল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও গত ১৬ দিনেও ফাইল নড়েনি। বরং নানা অজুহাতে ফাইল ঘুরানো হচ্ছে। কখনো কখনো দাবি করা হচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

দেলোয়ার হোসেন নামের একজন অভিযোগ করেন, ‘দেড় লাখ টাকা না দেওয়ায় তার ফাইল ৬ মাস ধরে আটকে রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ জোনের কর্মকর্তারা। জোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফাইল ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও নিচের শ্রেণির কর্মচারীদের দাবি ‘স্যারের অনুমতি নেই। ’ ফলে দোদুল্যমান অবস্থায় থাকেন গ্রাহকেরা।

ভুক্তভোগীদের একজন জানান, রাজউক অফিসে গেলেই বিভিন্ন পদের কর্মকর্তারা সরাসরি টাকার প্রস্তাব দেন। টাকা ছাড়া ফাইল নড়বে না এমন কথাও আগে থেকে শোনানো হয়।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজারে আল জয়নাল প্লাজা সংলগ্ন হাজী আশরাফ ট্রেড সেন্টারে চালু হতে যাচ্ছে রাজউকের নারায়ণগঞ্জ শাখার কার্যক্রম। ইতোমধ্যে রাজউক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অফিসের বিষয়ে হাজী আশরাফ ট্রেড সেন্টারের কর্তৃপক্ষের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অদূরে শহরের টানবাজারে আল জয়নাল প্লাজা সংলগ্ন হাজী আশরাফ ট্রেড সেন্টারের (যমুনা ব্যাংকের পেছনে) তৃতীয় তলায় হচ্ছে রাজউকের নারায়ণগঞ্জ অফিস। এ বিষয়ে বুধবার রাজউক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাজী আশরাফ ট্রেড সেন্টারের কর্তৃপক্ষের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

রাজউকের নারায়ণগঞ্জ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশীষ কুমার সাহা জানান, আমি কখনো ফাইল আটকে রাখার পলিসিতে বিশ্বাসী নই। অহেতুক কোনো ফাইল আটকে রাখা হয় না। তাছাড়া টাকা নিয়ে দ্রুত ফাইল সম্পাদনের অভিযোগ সত্য নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭
বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।