ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় ৭ই মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি উদযাপনে শোভাযাত্রা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
খুলনায় ৭ই মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি উদযাপনে শোভাযাত্রা খুলনাতেও আনন্দ শোভাযাত্রায় মানুষের ঢল নামে। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে দেওয়া ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উদযাপনে খুলনায় আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) সারাদেশের মতো সকালে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নগরীর শিববাড়ী মোড় থেকে শহীদ হাদিস পার্ক পর্যন্ত আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।

অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রচনা-কুইজ প্রতিযোগিতা এবং শহীদ হাদিস পার্ক, শিববাড়ী মোড়, গল্লামারী মোড় ও জাতিসংঘ শিশুপার্কে বড় পর্দায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ প্রদর্শনী।

খুলনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ আনন্দ শোভাযাত্রায় সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক ও মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন, ডিআইজি অফিস, খুলনা মহানগর পুলিশ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।  

শোভাযাত্রায় অংশ নেন খুলনার বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ।  

শোভাযাত্রার সম্মুখভাগে ছিলো বিভিন্ন ব্যান্ড পার্টির সুসজ্জিত বাদক দল।  এ সময় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিলো স্ব-স্ব দফতর এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড।

৭ই মার্চ  উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন অতিথিরা।  ছবি: বাংলানিউজশোভাযাত্রা শেষে দুপুরে শহীদ হাদিস পার্কে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক।  

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে  সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, খুলনা রেঞ্চ ডিআইজি  দিদার আহম্মেদ, পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর, কাস্টমস কমিশনার মারগুব আহমেদ, র‌্যাব-৬ এর সিইও খন্দকার রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা মহানগর ইউনিট কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবির। স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান।

তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ নিপীড়িত মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দলিল।  তার ১৮ মিনিটের অলিখিত এই ভাষণ যত মানুষকে উজ্জীবিত করে একত্রিত করেছিলো তেমনটি পৃথিবীর ইতিহাসে আর ঘটেনি।  

‘তার ওই ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রমাণ করে এই ভাষণ যুগ যুগ ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে। এই ভাষণকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। ’ 

আলোচনা শেষে এ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এরপর একই স্থানে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
 
বাংলাদেশ সময়:  ১৪০৬ ঘণ্টা,  নভেম্বর ২৫, ২০১৭
এমআরএম/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ