ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রূপা ধর্ষণ-হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়নি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
রূপা ধর্ষণ-হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়নি

টাঙ্গাইল: আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করায় মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল’ কলেজের শিক্ষার্থী রূপা খাতুনকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গঠনের শুনানি হয়নি।

বুধবার (২২ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ শুনানি হওয়ার কথা ছিল।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌসুলি (পিপি) একেএম নাছিমুল আক্তার জানান, ২৫ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

বুধবার এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। আসামিদের আইনজীবী শামীম চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয় যে, তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করবেন। এজন্য সময় প্রার্থনা করেন।

এসময় রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ সরকারি কৌসুলি (পিপি) একেএম নাছিমুল আক্তার এবং বাদীপক্ষের আইনজীবী এস আকবর খান, আতাউর রহমান আজাদ সময় আবেদনের বিরোধিতা করেন। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নান অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৯ নভেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেন।

এর আগে ১৩ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় সেদিনও শুনানি হয়নি।

কারাগারে আটক এই মামলার আসামি পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) আদালতে হাজির করা হয়।

১৫ অক্টোবর পুলিশ বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়। পরদিন ১৬ অক্টোবর বিচারিক হাকিম আদালত থেকে বিচারিক আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র পাঠানো হয়।

২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করে।

রূপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে মরদেহের ছবি দেখে তার বোন বলে  শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে তারা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে। ৩১ আগস্ট রূপার মরদেহ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রূপাকে সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, ২২ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।