ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যুদ্ধজাহাজ দেখতে সদরঘাটে দর্শনার্থীদের ভিড়

শেখ জাহিদুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
যুদ্ধজাহাজ দেখতে সদরঘাটে দর্শনার্থীদের ভিড় সদরঘাটে যুদ্ধজাহাজ বরকত/ ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: একটি যুদ্ধজাহাজ কীভাবে অন্য একটি যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে যুদ্ধ করে? কীইবা থাকে সেই যুদ্ধজাহাজে? এমন কৌতূহল যাদের তারা সরাসরি যুদ্ধজাহাজ দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন রাজধানীর সদরঘাটে।

সোমবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সদরঘাটে প্রদর্শিত হয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বরকত। দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল যুদ্ধজাহাজটি।

দুপুর ২টা থেকে প্রদর্শনী শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১টা থেকেই উৎসুক জনসাধারণ সদরঘাটে ভিড় জমাতে শুরু করেন। দুই দফায় তল্লাশি পেরিয়েও যুদ্ধজাহাজ দেখতে কারো মধ্যে আগ্রহের কোনো কমতি ছিলো না। পাশাপাশি দর্শনার্থীরা নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করে জেনে নেন যুদ্ধজাহাজের কার্যপদ্ধতি। নৌবাহিনীর কর্মকর্তারাও অবলীলায় সহজ ভাষায় কৌতূহল মেটার দর্শনার্থীদের।
কৌতূহলী দর্শনার্থীদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন এক নৌ কর্মকর্তা/ ছবি: কাশেম হারুনজামিল নামে এক দর্শনার্থী বাংলানিউজকে বলেন, জীবনে টেলিভিশনে কতো যুদ্ধজাহাজ দেখলাম। কিন্তু আজ সরাসরি দেখে অনেক ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে যদি চলন্ত যুদ্ধজাহাজে ঘুরতে পারতাম! 

যুদ্ধজাহাজে ঘুরে ঘুরে দেখার পাশাপাশি কৌতুহল মেটাতে নানা প্রশ্ন করে অজানা অনেক কিছু জেনেছেন জামিল। নৌবাহিনীর সদস্যদের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

সাত বছরের ছেলে ফাহিমকে নিয়ে যুদ্ধজাহাজ দেখতে এসেছেন হুমায়রা শিমু। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ছোট্ট ছেলেটাকে নিয়ে বাইরে ঘোরাঘুরি খুব কম হয়। এখানে যুদ্ধজাহাজের প্রদর্শনী হচ্ছে শুনে তাই ছোট্ট বাবুটাকে নিয়ে দেখতে এলাম।
যুদ্ধজাহাজ বরকত দেখতে আসেন কৌতূহলী দর্শনার্থীরা/ ছবি: কাশেম হারুনঅন্যদিকে শিশু ফাহিমও যুদ্ধ জাহাজের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দেখে ব্যাপক খুশি। আনন্দ সে তার মাকে, মা আমি জাহাজ চালাব!’
 
জাহাজটির বিষয়ে অধিনায়ক লে. কর্পোরাল রাশেদুল করীম বাংলানিউজকে বলেন, জাহাজটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন। এখনো আমরা মাঝে মাঝে গভীর সমুদ্র বন্দরে জাহাজটি নিয়ে ফায়ার পরীক্ষা করে থাকি। এই জাহাজটি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে পারায় আমরাও খুশি। কেননা দেশের মানুষ জানুক আমরা কীভাবে কাজ করে থাকি আর যুদ্ধ জাহাজটাই বা কী।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৭
এসজে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad