ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মোবাইল ফোনে প্রেম, অতঃপর গণধর্ষণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
মোবাইল ফোনে প্রেম, অতঃপর গণধর্ষণ

গোপালগঞ্জ: মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমে সাড়া দিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে গোপালগঞ্জে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক  কিশোরী।

এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানায় রোববার (১৯ নভেম্বর) রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত দেবাশীষ বাড়ৈ দেবুকে (৩২) গ্রেফতার করেছে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দি শেষে মেয়েটিকে তার বাবার কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে কোটালীপাড়া উপজেলার লাটেঙ্গা গ্রামের মনির পাগলের আশ্রমে এ ঘটনা ঘটেছে।

ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার কুশলা আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাড়ি ওই উপজেলার কুশলা গ্রামে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, কোটালীপাড়া উপজেলার কোনের ভিটা গ্রামের দ্বীপ চাঁন বাড়ৈয়ের ছেলে এক সন্তানের জনক দেবাশীষ বাড়ৈয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রায় এক মাস আগে ওই ছাত্রীর পরিচয় হয়। দফায় দফায় ফোনালাপের মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শনিবার সকাল ১০টায় ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে মোবাইলে প্রেমিকের আহবানে সাড়া দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরে আসে। প্রেমিক দেবাশীষ বাড়ৈয়ের সঙ্গে তার গোপালগঞ্জ শহরে দেখা হয়। তারপর তারা দু’জনে একসঙ্গে কোটালীপাড়া উপজেলা সদরে যায়। সেখানে ঘোরাফেরার পর সন্ধ্যায় লাটেঙ্গা গ্রামে পৌঁছায়। রাতে লাটেঙ্গা গ্রামের মনির পাগলের আশ্রমে নিয়ে দেবাশীষ ও তার সহযোগীরা ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেবাশীষকে আটক করে।

স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। শনিবার রাতেই গ্রামবাসী দেবাশীষ বাড়ৈকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনাস্থল থেকে দেবাশীষকে হাতে-নাতে আটক করেন তারা। দেবাশীষের আরো দুই সহযোগী এ সময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে এলাকাবাসী তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

কোটালীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দেবাশীষ ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর জানান, গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কোটালীপাড়া আদালত) কোর্টে ২২ ধারায় জবানবন্দি শেষে তাকে তার বাবার কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ২০ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad