ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নাটোরের দু’টি চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
নাটোরের দু’টি চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু নাটোরের দু’টি চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু

নাটোর: তিন লাখ ৮২ হাজার টন আখ মাড়াই করে মোট ২৭ হাজার ৪৪৫ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নাটোরের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল ও নাটোর সুগার মিলে ২০১৭-১৮ আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
 

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে উভয় মিল চত্বরে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে ডোঙ্গায় আখ ফেলে আখ মাড়াই মৌসুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
 
স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ডোঙ্গায় আখ ফেলে মাড়াই মৌসুম উদ্বোধন করেন।

মিলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সচিব এবিএম আরশাদ হোসেন, প্রধান (পরিকল্পনা) প্রকৌশলী হারেছ আলী, উপজেলা সহকারী কমিশনার আবু তাহির, ওসি আবু ওবায়েদ, আওয়ামী লীগ সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী প্রমুখ।

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের মহা ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) রাকিবুর রহমান খান বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে দুই লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১৫ হাজার ৪৫ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২০ মাড়াই দিবসে চিনি আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭.৫০ শতাংশ।
 
অপরদিকে, একই সময়ে নাটোর সুগার মিলে তিন জন আদর্শ আখ চাষী মকছেদ আলী, খলিলুর রহমান ও রুহুল আমিন হাওলাদার এবং সিনিয়র দুই শ্রমিক আব্দুল জলিল পান্না ও আনিসুর রহমান মিলের ডোঙ্গায় আখ ফেলে মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করেন।

নাটোর চিনিকলের জিএম (অর্থ) ওয়াকার হাসান বাংলানিউজকে জানান, ২০১৭-১৮ মাড়াই মৌসুমে এক লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে নাটোর সুগারমিল। ১০৭ মাড়াই দিবসে চিনি আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭.৭৫ শতাংশ।
 
এদিকে দুটি সুগারমিল এলাকাতে তিন শতাধিক অবৈধ পাওয়ার ক্রাশারে গুড় উৎপাদন কার্যক্রম চলমান থাকায় বরাবরের মতো এবারো সুগারমিল দুটি আখের অভাবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।  
 
এ ব্যাপারে নাটোর সুগারমিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ শহিদুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, ইতোমধ্যে অবৈধ পাওয়ার ক্রাশারের কার্যক্রম বন্ধে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে ১৫ জন চাষীর বিরুদ্ধে মামলা এবং ১০০ জন চাষীকে উকিল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল এলাকাতেও এ অভিযান চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।