ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভারসাম্যহীনকে অলৌকিক শক্তির অধিকারী বানানোর চেষ্টা!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
ভারসাম্যহীনকে অলৌকিক শক্তির অধিকারী বানানোর চেষ্টা!

পটুয়াখালী: মানসিক ভারসাম্যহীন ষাটোর্ধ্ব এক নারীকে আলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী বলে ধোকা দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ লোপাট করার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

মৌখিকভাবে এ অভিযোগ জানতে পেরে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের মোল্লার বাজারের একটি আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ওই ইউনিয়নের মোল্লার বাজার সেতুর দক্ষিণ পাশে মানসিক ভারসাম্যহীন এক অজ্ঞাতপরিচয় নারী আশ্রয় নেয়।

 

পরে স্থানীয় কতিপয় লোক নিজেদের উদ্যোগে সেখানে লাল কাপড় দিয়ে একটি আস্তানার মতো তৈরি করেন। সেখান থেকেই প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে ওইদিন থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে দিয়ে ঝাড়-ফুঁক এবং তেল পড়া দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দিতে শুরু করে। যেখানে ১০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত হাদিয়া ওঠানো শুরু করেন দেন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।  

চিকিৎসা নিতে যাওয়া পাশ্ববর্তী ভূঁইয়ার হাওলা গ্রামের হাজেরা বেগম জানান, তিনি শরীরের বিষ ব্যাথা দিয়ে আরোগ্য লাভের আশায় ফকিরের আস্তানায় এসেছেন। তবে পরে জানতে পারেন পুরো বিষয়টিই ভুয়া।

এদিকে বিভিন্ন এলাকার লোকজন ছুটে আসতে থাকলে থানা পুলিশ শুক্রবার সকালে সেখানে যান এবং আস্তানা গুড়িয়ে দেন। তবে পুলিশ আসার খবরে সংশ্লিষ্টরা সেখান থেকে সটকে পড়েন।

এলাকায় সরকারি হাসপাতাল না থাকায় ওই এলাকায় এ ধরনের ভন্ডামি করাটা সহজ বিধায় কতিপয় লোকজন ফায়দা লোটার চেষ্টা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কোড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর হাওলাদার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেখা যায়, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। পুলিশ পৌঁছানোর পর তাকে নিয়ে যারা ব্যবসা করার আয়োজন করেছিলো তারা সটকে পড়ে। আস্থানাটি গুড়িয়ে দিয়ে ওই নারীকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে এভাবে গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে প্রতারণার মাধ্যমে কেউ যাতে ধোকা দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হবে বলে জানান ওসি।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
এমএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।