ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মহাকবির জন্মস্থানে আসতে পেরে আমি ধন্য

উত্তম ঘোষ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
মহাকবির জন্মস্থানে আসতে পেরে আমি ধন্য মধুকবির প্রতিকৃতির সামনে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা/ছবি: বাংলানিউজ

মধুপল্লী (কেশবপুর) যশোর থেকে: মধুসূদন একজন কিংবদন্তি কবি। ১৮ শতকে তিনি বাংলা ভাষাকে অবিভক্ত ভারতবর্ষে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি বাংলা কবিতাকে শুধু বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করেননি, বরং ভারতবর্ষসহ বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে আসতে পেরে আমি সত্যি ধন্য। 

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান সাগরদাঁড়ির মধুপল্লীতে বেড়াতে এসে এ কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

হাইকমিশনার বলেন, মাইকেল ফিরেছেন শুধুমাতৃভাষার টানে।

মাতৃভাষা  বাংলা তাকে মহাকবি হতে উদ্বুদ্ধ করেছে। মহাকবির জন্মস্থানকে বাংলাদেশ সরকার যেভাবে গুরুত্ব দিয়ে দর্শনীয় স্থানে পরিণত করেছে তা দেখে আমি অভিভূত, এটা প্রশংসাযোগ্য। কিন্তু যশোর ঘুরে সাগরদাঁড়ি আসতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছে। ভারতবর্ষের মানুষ যেন সহজে মধুকবির জন্মস্থান দর্শন করতে পারে সেজন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ ও উন্নত হওয়া প্রয়োজন।

মধুসূদনের জন্মস্থানে হাইকমিশনার শ্রিংলাসহ তার সফরসঙ্গীরা/ছবি: বাংলানিউজসাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িকে ঘিরে ভারত সরকার যে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে তা বাংলাদেশ সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে। যদি মাইকেল মধুসূদনের জন্মস্থান সাগরদাঁড়ির উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার আবেদন করে সেক্ষেত্রে ভারত সরকার অবশ্যই বিবেচনা করবে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ সরকার মানবিক কারণে অসংখ্য রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে। ভারত এর সমর্থন করে বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছে। এছাড়া প্রায় ৬ লাখ অসহায়-নির্যাতিত রোহিঙ্গার জন্য ভারত সরকার সর্বোচ্চ মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে এক হাজার টন ত্রাণ দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিজদেশে পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশের পাশে থেকে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে সর্বোচ্চ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত।  

মন্তব্য খাতায় নিজের অনুভূতি লিখছেন ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রিংলাএ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের সংসদ সদস্য স্বপন কুমার ভট্টাচার্য, ভারতীয় হাইকমিশনরে রাজনৈতিক সচিব নবনীতা চক্রবর্তী, রেলওয়ে উপদেষ্টা দীব্বাঞ্জন রায়, কাউন্সেলর প্রেস, তথ্য সংস্কৃতি অরুন্ধতী দাশ, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম আমীর হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কবির হোসেন, কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএম আনোয়ার হোসেন, মধুপল্লীর কাস্টোডিয়ান মহিদুল ইসলাম, ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্সের উপকমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান, মধুসূদন গবেষক ও কবি খসরু পারভেজ, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
ইউজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।