ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়নি, সমন্বয় করা হয়েছে 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়নি, সমন্বয় করা হয়েছে  ই-ট্রেড লাইসেন্স ও ই-রেভিনিউ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র সাঈদ খোকন- ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স এক শতাংশও বাড়ানো হয়নি। ২৯ বছর আগে মানুষ যে হোল্ডিং ট্যাক্স দিতেন সেটা সমন্বয় করা হয়েছে। 

তারপরও যদি কোনো বাড়িওয়ালা বা নাগরিক সংক্ষুদ্ধ হন তাহলে আমরা আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করবো।  

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় দক্ষিণ সিটি করোপরেশের নগর ভবনে ই-ট্রেড লাইসেন্স ও ই-রেভিনিউ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

সাঈদ খোকন বলেন, সিটি করপোরেশনের একেকটি এলাকায় একেক রকম ট্যাক্স ছিলো, সেটা এখন সমন্বয় করা হয়েছে মাত্র। তবে বাড়ানো হয়নি।  তিনি বলেন, অভিযোগ আসছে যে অযৌক্তিকভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কোনো প্রকারে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করেনি। আমরা ১২ শতাংশ ট্যাক্স আগে থেকে নিচ্ছি, এখনো নিচ্ছি। এমনকি ১১টি সিটি করপোরেশনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্যাক্সের হার সর্বনিম্ন। ট্যাক্সের হার কোথাও ১ শতাংশও বাড়ানো হয়নি।

নগরবাসীর অভিযোগের বিষয়ে মেয়র বলেন, বলা হচ্ছে কারো কারো হোল্ডিং ট্যাক্স অনেকগুণ বেড়েছে। এসময় উদাহরণ টেনে বলেন, কেউ হয়তো ৫ হাজার টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স দিতেন, তার এখন আসছে ৪০ হাজার টাকা (নাগরিকদের অভিযোগ)।
 
তিনি বলেন,  ২৯ বছর পর আমরা ট্যাক্স ‘অ্যাসেসমেন্ট’ (সমন্বয়) করছি। ডিএসসিসিতে বসবাসকারী এমনও বাড়ি রয়েছে পাশাপাশি দুটি বাড়ি একই পরিমাপের একই তলা বিশিষ্ট অথচ তাদের কেউ হয়তো ২০ হাজার টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স দিচ্ছেন, কেউ হয়তো ২ হাজার টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স দিচ্ছেন। যিনি দুই হাজার টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স দিচ্ছেন তার সমন্বয় হয়তো ২৮ বছরেও করা হয়নি। যিনি ২০ হাজার টাকা দিচ্ছেন তার সমন্বয় হয়তো ২০১৫ সালে করা হয়েছে। আমরা এই ট্যাক্স সমন্বয় সাধন করছি।

মেয়র বলেন, একই সুবিধা ভোগ করে হোল্ডিং ট্যাক্সের অসমতা থাকতে পারে না। সমতা আনার জন্য এই উদ্যেগ গ্রহণ করেছি। সবাই সমান ভাবে ট্যাক্স দিবেন।

এসময় মেয়র বলেন, ট্যাক্স আমরা বাড়ি ভাড়ার উপর নির্ধারণ করি। যিনি বাড়ি ভাড়া দিয়ে থাকেন তার একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের ট্যাক্স ধরা হয়ে থাকে। আর  যিনি  নিজে  ব্যবাহার  করেন  তার  ৪০ শতাংশ বাড়িভাড়া আনুমানিক ধরে তাকে ‘রি-ভ্যাট’ দেওয়া হয়ে থাকে।   

অভিযোগকারীদের উদ্দেশে বলেন, যিনি ২৯ বছর ট্যাক্সের সুবিধাটুকু ভোগ করলেন অবৈধভাবে, ডিএসসিসি ইচ্ছা করলে আইনিভাবে আদায় করতে পারতো। নাগরিকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা সেদিকে যাইনি। বর্তমানে যে  হোল্ডিং ট্যাক্সের যে রেট রয়েছে তার চাইতে কমপক্ষে ৩০-৪০ শতাংশ নিম্নে আমাদের হার। তারপরেও যদি কোনো নাগরিক সংক্ষুদ্ধ হন তার জন্য আমাদের আপিল বোর্ড রয়েছে। সেখানে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ রয়েছে।  যাদের মাসে কোটি টাকা ভাড়া আসে তাদের তো একটু লাগতেই পারে।  তারপরেও বলছি কেউ অযৌক্তিক মনে করলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন খান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও প্রকল্প পরিচালক, এটুআই প্রোগ্রাম, আরবান পাবলিক অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট হেলথ সেক্টর ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মালেক,  প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী প্রমুখ।   

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭/আপডেট ১৭২৯
এসএম/বিএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।