ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জনবল বাড়ছে মেট্রোরেলের, থাকছেন কেবল প্রকৌশলীরাই

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
জনবল বাড়ছে মেট্রোরেলের, থাকছেন কেবল প্রকৌশলীরাই মেট্রোরেল

ঢাকা: ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক ছিল ম্যাস ৠাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) বা মেট্রোরেল প্রকল্পের সর্বোচ্চ পদ। এখন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিলুপ্ত হয়ে থাকছে শুধু প্রকল্প পরিচালক পদটি। একইভাবে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিলুপ্ত করে রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক পদটিকে।

জনবল কাঠামোতে বড় ধরনের রদবদল করে মূল অনুমোদিত প্রকল্পে সুপারিশকৃত ১০১টি পদের স্থলে মোট পদের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৩৭ জনে। তবে আগের কিছু পদ পরিবর্তিত হয়ে সেগুলোর স্থলে তৈরি হচ্ছে নতুন পদ।



বাস্তবায়নকারী সংস্থা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় জানায়, এমআরটি লাইন-৬ এর আওতায় উত্তরা তৃতীয় পর্যায় থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভায়াডাক্ট ও স্টেশন নির্মাণের অংশ হিসেবে বর্তমানে মিরপুরের পল্লবী থেকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় পর্যন্ত কাজ চলছে।

প্যাকেজ ৩ ও ৪ এর আওতায় এ কাজ করছে ইটালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড (ইটাল-থাই) এবং চীনের প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড। প্যাকেজ-২-এর আওতায় এক হাজার ৫৯৬ কোটি টাকায় মেট্রোরেলের ডিপোও নির্মাণ করছে ইটাল-থাই ও সিনোহাইড্রো।

এ পর্যায়ে এসে কাজের গতি পরিবর্তিত হওয়ায় বর্তমানে প্রকল্প সাইটে বেশি দরকার প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের। তাই অপ্রয়োজনীয় পদ বাদ দিয়ে নতুন বেশ কিছু প্রকৌশলীর পদ তৈরি করা হচ্ছে। সিভিলদের প্রকল্প থেকে বাদ দিয়ে এসব জনবলের স্থান দখল করতে যাচ্ছেন প্রকৌশলীরা। এসব দেশি কর্মকর্তাই দৃশ্যমান করবেন রাজধানীবাসীর স্বপ্নের মেট্রোরেলকে।

মূল অনুমোদিত প্রকল্পে উপ-মহাব্যবস্থাপক, ব্যবস্থাপক, অ্যাকাউন্টস্‌ অফিসার ধরনের পদই রয়েছে বেশি। নতুন জনবল কাঠামোতে পরিচালক (অর্থ) পদটি বিলুপ্ত করে অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (রোলিং স্টক) ও মহাব্যবস্থাপ (অর্থ ও হিসাবরক্ষণ) পদ বিলুপ্ত করে প্রকল্প ব্যবস্থাপক পদ সৃষ্টি হচ্ছে। সহকারী প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলীর নতুন পদ তৈরি করে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে আরও ৬০ জনকে। উপ-প্রকল্প পরিচালক ও সহকারী প্রকল্প পরিচালকের ২২টি পদেও থাকবেন প্রকৌশলীরাই।

জনবল কাঠামোর এ সংশোধিত প্রস্তাব ইতোমধ্যেই অনুমোদন পেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের। সেটি প্রকল্পের মূল ডিপিপি’তে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) অন্তর্ভূক্ত করতে পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগেও। যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন মূল ডিপিপি’তে অন্তর্ভূক্ত করলেই নতুন জনবল কাঠামোর আওতায় কাজ চলবে মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের।  

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সহকারী প্রধান (সড়ক পরিবহণ উইং) নাজমুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন,  ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নতুন জনবল কাঠামো নিয়ে আমরাও কয়েক দফা সভা করবো। সঠিক মনে হলে সেটি চূড়ান্ত হবে। আবার প্রয়োজন অনুসারে আমরাও কম-বেশি করতে পারি’।

পরিকল্পনা কমিশন দুই একদিনের মধ্যেই নতুন জনবল কাঠামোর অনুমোদন দেবে বলে আশাবাদী মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল) আব্দুল বাকি মিয়া। তিনি বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে রান করা পর্যন্ত আমাদের প্রচুর প্রকৌশলী দরকার। অথচ মাঠ পর্যায়ে প্রকৌশলী খুব একটা নেই। নতুন জনবল নিয়োগ দিয়ে তাদেরকে বিদেশে প্রশিক্ষণ দেবো। প্রকল্প ব্যয় থেকেই তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে’।

প্রকল্পটির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হওয়া পর্যন্ত জনবল খাতে মোট ব্যয় হবে ৭১ কোটি টাকা বলেও জানান তিনি।

সূত্র জানায়, মেট্রোরেলের উত্তরা-মতিঝিল রুটের মোট দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭ কিলোমিটার এবং নয়টি স্টেশন থাকবে। ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সবার আগে এ অংশটুকু ২০১৯ সালের মধ্যেই উন্মুক্ত করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।

গত অক্টোবর মাস পর্যন্ত এ প্রকল্পের মোট অগ্রগতি ২০ দশমিক ১৯ শতাংশ ও ব্যয় হয়েছে ৬৯২ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।