ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিআরটিসি প্রস্তুত, অভিভাবকরা রাজি হলেই স্কুলবাস

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
বিআরটিসি প্রস্তুত, অভিভাবকরা রাজি হলেই স্কুলবাস

সংসদ ভবন থেকে: রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণ ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াতে বিআরটিসি বাস দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, বিআরটিসি প্রস্তুত আছে, অভিভাবকরা রাজি হলে এখনই গাড়ি দেবে।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই হাসনা লিলি চৌধুরীর ৭১ বিধিতে উত্থাপিত নোটিশের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী একথা বলেন। নোটিশে ঢাকা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য স্কুলবাস দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।


 
শিক্ষামন্ত্রী নোটিশের জবাবে বলেন, রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোর যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে আমরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ডাকি। সেখানে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি, ট্রাফিক বিভাগ, বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ আমাদের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করি। আমরা প্রস্তাব করেছিলাম স্কুলে একক গাড়ি নিয়ে আসা একদিকে ব্যয়বহুল ও যানজট হয়, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েও সমস্যা দেখা দেয়।
 
তিনি বলেন, আমাদের সেই প্রস্তাবে প্রথমে দ্বিমত না করলেও পরে কেউ রাজি হননি। আমরা এটাও বলেছিলাম স্কুল-কলেজের বাসগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সেই বৈঠকে অনেক অভিভাবক রাজি না হয়ে বরং বলেছিলেন আমার গাড়ি আছে, আমার সন্তান স্কুলে যাবে আমার গাড়িতে। মনে হয়েছিল এতে তাদের সম্মান যাবে। বিআরটিসি দোতলা বাস দিতে রাজি হয়েছিল। অভিভাবকরা রাজি না হওয়ায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি।
 
শিক্ষামন্ত্রী পুলিশের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, শুধু ধানমন্ডি এলাকায় ২১ হাজার প্রাইভেটকার প্রতিদিন স্কুলের শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ায় কাজ করে। এতে যানজট তো হয়ই, একটা বড় সমস্যারও সৃষ্টি হচ্ছে।
 
তিনি বলেন, আমরা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বিভাগীয় শহরের পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছি নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় শিক্ষার্থী আনা-নেওয়ার কাজ করতে। সবার সহযোগিতা পেলে এটা করা সম্ভব হবে।  

এজন্য সংসদ সদস্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে ধর্তব্যের মধ্যে নিই না 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
এসএম/এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।