ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

জগন্নাথ-সোহেল স্মরণে জঙ্গিবাদ রুখার দৃঢ় প্রত্যয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
জগন্নাথ-সোহেল স্মরণে জঙ্গিবাদ রুখার দৃঢ় প্রত্যয় স্মরণসভা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: জঙ্গিবাদ রুখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহমেদের ১২তম  মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জগন্নাথ-সোহেল স্মৃতি মিলনায়তনে স্মরণসভায় বক্তারা এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ঢাকা জেলা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকরা ও অন্য জুডিশিয়াল কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ স্মরণসভার আয়োজন করে। দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন-মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা, যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) ও অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব (ভারপ্রাপ্ত) বিকাশ কুমার সাহা, সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার গোলাম রাব্বানী, মহাপরিদর্শক (নিবন্ধন) আব্দুল মান্নান খান, যুগ্ম সচিব মাহবুবার রহমান সরকার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরা বেগম, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট শেখ হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহিদুল কবির প্রমুখ। জগন্নাথ পাঁড়ের বড় ভাই বিশ্বনাথ পাঁড়েও সভায় বক্তব্য দেন।

সভায় জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম কুদ্দুস বলেন, ইসলাম ধর্মে কোনো শ্রেণি বিভাগ নেই। অন্য ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা ইসলামের শিক্ষা। কিন্তু জঙ্গিবাদের কাজ হলো অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো। ধার্মিকরা কখনও হিংস্র হতে পারে না।  

মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিই সেদিন বিচারকদের উপর হামলা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করছেন। অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে নিহত বিচারকদের পরিবারকে প্রতিবছর এককালীন ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।  

অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বিকাশ কুমার সাহা বলেন, জঙ্গিবাদ শুরু হয় বিচার বিভাগকে আঘাত করার মাধ্যমে। যারা জঙ্গিবাদকে উসকে দেয়, জঙ্গিবাদকে ধারণ ও লালন করে তাদের প্রতিহত করতে হবে।

স্মরণসভা শেষে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।

২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ঝালকাঠিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবির) বোমা হামলায় জগন্নাথ ও সোহেল নিহত হন।

২০০৬ সালের ২৯ মে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৭ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে এ রায় বহাল থাকলে ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ পলাতক আসামি আসাদুল ইসলাম আরিফ ব্যতীত দেশের বিভিন্ন আদালতে শীর্ষ ৬ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল এ মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট হায়দার হুসাইনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

১৮ তম বিসিএস ক্যাডারে ১৯৯৮ সালের ২৪ জুন জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহমেদ সহকারী জজ হিসেবে যোগ দেন। জগন্নাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ও সোহেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এমআই/আরআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।