ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উত্তরা গণভবনের গাছ কেটে ফেঁসে যাচ্ছেন প্রকৌশলীসহ ৬ জন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
উত্তরা গণভবনের গাছ কেটে ফেঁসে যাচ্ছেন প্রকৌশলীসহ ৬ জন

নাটোর: নাটোরের উত্তরা গণভবনের শতবর্ষী তাজা গাছ কাটায় অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফেঁসে যাচ্ছেন গণপূর্ত নিবার্হী প্রকৌশলী মশিউর রহমান আকন্দ ও ঠিকাদারসহ ৬ জন।

অভিযুক্ত অপর পাঁচজন হলেন-গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান, এসও কামরুজ্জামান, উত্তরা গণভবনের কেয়ারটেকার আবুল কাশেম, আব্দুস সবুর তালুকদার এবং ঠিকাদার সোহেল ফয়সাল।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেন গঠিত ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজ্জাকুল ইসলাম।

পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।

ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিলামের মাধ্যমে অভিযুক্ত ঠিকাদার সোহেল ফয়সাল শতবর্ষী ১৭টি তাজা গাছ ও ৪৩টি তাজা গাছের ডালপালা কেটে নেন। এসব গাছ ও ডালপালার দাম নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গাছ কাটা ও দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে বন বিভাগের কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি গাছ কাটার বিষয়ে গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজ্জাকুল ইসলাম গাছ কাটার সঙ্গে অভিযুক্তরা জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ঠিকাদারের মাধ্যমে টেন্ডার বহির্ভূত ৫টি আম, কাঠ বাদাম, নারিকেল ও অজ্ঞাত ঔষুধি গাছসহ ১৪টি এবং নিলামের মাধ্যমে ৩টি তাজা গাছ কাটা হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন জানান, তদন্ত কমিটির দেওয়া সুপারিশের আলোকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সরকারি নিদের্শনা পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, উত্তরা গণভবনের চারপাশের লেকের ধারে শত বছরের অন্তত ৩০০ প্রজাতির আম গাছ রয়েছে। এছাড়া মেহগনি, নারিকেল, কাঠ বাদামসহ আরো ৫ শতাধিক গাছ রয়েছে।  

সম্প্রতি ঝড়ে এবং মরে যাওয়া ২টি আম, ১টি মেহগনিসহ বেশ কিছু গাছের ডালপালার ইজারা আহ্বান করে স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগ।

বনবিভাগের কর্মকর্তা আবু আব্দুল্লাহর দেওয়া দাম নির্ধারণ অনুসারে মাত্র ১৮ হাজার ৪শ’ টাকার টেন্ডারের বিপরীতে ১৭টি গাছ ও কিছু গাছের ডাল পালা কাটা হলে তোলপাড় শুরু হয়।

গাছ কাটার বিষয়টি নজরে এলে ১৭ অক্টোবর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজ্জাকুল ইসলামকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আলম, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শামীম ভূইয়া ও এনডিসি অনিন্দ মণ্ডল।  

এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নাটোর গণপূর্ত নিবার্হী প্রকৌশলী মশিউর রহমান আকন্দ বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবেদনের বিষয়টি তার জানা নেই। তবে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

** উত্তরা গণভবনের শতবর্ষী জীবিত গাছ কেটে সাবাড়

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad