ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আমরাও তো দাবি করতে পারি রাখাইন আমাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
আমরাও তো দাবি করতে পারি রাখাইন আমাদের বক্তব্য রাখছেন কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল/ছবি: সোহেল সরওয়ার

কক্সবাজার: রোহিঙ্গাদের এদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার পর এখন শোনা যাচ্ছে মিয়ানমার দাবি করছে বাংলাদেশের কক্সবাজারও নাকি তাদের। কিন্তু আমরা বলতে চাই- তারা যদি এপার দাবি করে, তাহলে আমরাও দাবি করতে পারি রাখাইন রাজ্যও আমাদের। আমি কোনো কথার কথা বলছি না। ঐতিহাসিকভাবেই বলছি। দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে তো সেই দাবি করতেই পারি।

দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট, বাস্তবতা ও পরিকল্পনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এ কথা বলেন।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজারের সায়মন বিচ রিসোর্টের সম্মেলন কক্ষে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়।



বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, এতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এলো কিন্তু একটা মানুষও খাদ্যের অভাবে মারা যায়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা যায়নি। সেটা সফলতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের দেখতে গিয়েই বলেছেন, ১৬ কোটি মানুষকে যদি খাওয়াতে পারি, তাহলে আরও ৫-৬ লাখ লোককেও আমরা খাওয়াতে পারবো। এটা অনেক বড় কথা। অনেক সাহসের কথা।
 
কমল বলেন, বিশ্ব দরবার রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আমাদের পাশে আছে। শুধু কয়েকটি দেশ এখনও মিয়ানমারের পক্ষে কথা বলছে। কথা বলছে কারণ আছে- কারণ মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের স্বার্থ জড়িত।
রোহিঙ্গা সংকট, বাস্তবতা ও পরিকল্পনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনাতিনি বাংলাদেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন, জঙ্গিবাদ আমাদের দেশে উত্থান হয়েছিল। আমরা সেটি দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছি। কিন্তু মিয়ানমার বলেছে জঙ্গি থামাতে এটা তাদের উদ্যোগ। আমার কথা হলো জঙ্গিবাদের নামে কি লাখ লাখ লোককে নিপীড়ন করা যায়, হত্যা করা যায়।

‘রোহিঙ্গাদের ফেরাতে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি এই গণহত্যার বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে। শুধু জাতিসংঘে গিয়ে তাদের ফেরাতে দাবি তুলবো তা হয় না। আমাদের কাজ আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। ’ -বলেন সাইমুম সরওয়ার কমল।

মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি দাবির পেছনে ভাষার মিল অজুহাত দেখাচ্ছে জানিয়ে এই সংসদ সদস্য বলেন, তারা বলছে রোহিঙ্গাদের ভাষা বাংলা। তারা তাই বাংলাদেশি। কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি রোহিঙ্গাদের ভাষার সঙ্গে বাংলার মিল মাত্র ৩০ শতাংশ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তী।  ছবি: সোহেল সরওয়ার
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা আসায় অনেক সমস্যা হচ্ছে জানি। কিন্তু মানুষ বড় না পরিবেশ বড়, মানুষ বড় না পর্যটন বড়, মানুষ বড় না রাজনীতি বড়। এই মানুষের কথা ভেবেছেন বলেই তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক সমস্যা হবে জেনেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন।

‘মিয়ানমার আমাদের ওপর ১০ লাখ লোকের বোঝা তুলে দিলো। তাই তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব নয়। প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ’
অসুখ না হওয়ার জন্যও ওষুধ খেতে হয় তাও রোহিঙ্গারা জানে না
ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা সংকট সামলানো কষ্ট হয়ে যাবে
বাংলাদেশের সীমান্ত এখনই বন্ধ করতে হবে
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে
রোহিঙ্গারা যাতে সংরক্ষিত এলাকার বাইরে যেতে না পারে
ভারত-চীনকে রাজি করাতে পারলেই রোহিঙ্গাদের ফেরানো সম্ভব
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান কূটনৈতিকভাবে করতে হবে
রোহিঙ্গারা ফেরত না গেলে দেশের জন্য হুমকি হবে
রোহিঙ্গারা এতোটা ‘ওয়েলকাম’ পাবে আশা করেনি
দেশ যে বহুমুখী সংকটে পড়েছে তা নিয়ে আরও কথা বলতে হবে
একজনও ভাতের অভাবে মারা যায়নি 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
টিএইচ/টিসি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।