ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

২০ বছর পর বাবাকে খুঁজে পেলেন সিনথিয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
২০ বছর পর বাবাকে খুঁজে পেলেন সিনথিয়া বাবা ও মায়ের সঙ্গে সিনথিয়া/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বরিশাল: দীর্ঘ ২০ বছর পর বাবাকে খুঁজে পেলেন সিনথিয়া আক্তার (২২)। তিনি এখন কলেজছাত্রী। পড়ছেন খুলনা বিএল কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে বরিশাল জেলা সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামে বাবাকে খুঁজে পান এই তরুণী। যা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশের দেওয়া তথ্য বলছে, ১৯৯১ সালে রাজারচর গ্রামের লেদু গাজী ওরফে মনির খুলনার দৌলতপুর এলাকায় আনসারে চাকরি করার সময় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই ঘরে দেড় বছরের শিশুকে (সিনথিয়া) রেখে নিরুদ্দেশ হয়ে যান তিনি। এরপর ২০ বছরেও তার সন্ধান পাননি সিনথিয়ার মা।

বড় হয়ে নিজে উদ্যোগ নিয়ে বাবার সন্ধানে বের হন সিনথিয়া। সন্ধানে বেরিয়ে মায়ের দেওয়া তথ্য মতে প্রথমে স্থানীয় কাজী অফিস থেকে বাবার ঠিকানা সংগ্রহ করেন। পরে ঠিকানা অনুযায়ী বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেনের দারস্থ হন।

ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক ওসি শাহ আওলাদ উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শরীফ হোসেনকে তার বাবা লেদু গাজীকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেন।

শুরু হয় কার্যক্রম। সিনথিয়ার সঙ্গে এসআই শামীম ও এএসআই শরীফ চরমোনাই ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামে তার বাবার বাড়ি খুঁজে বের করেন। কিন্তু তখন লেদু গাজী বাড়িতে ছিলেন না। পরে লেদু গাজীর প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে নম্বর নিয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়।  

এসআই শামীম হোসেন বলেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন মেয়েটির বাবাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেন আমাদের। ফোন করা হলে সন্তান ও বিয়ের কথা স্বীকার করতে বাধ্য হন তিনি। সেসময় বাবা ও মেয়ে দুইজনের কান্নায় ভেঙে পড়েন।  

শামীম আরও বলেন, বিভিন্ন কারণে লেদু গাজী সিনথিয়াদের পরিবারের খোঁজ রাখতে পারেননি বলে মত দিয়েছেন। তবে তার প্রথম সংসারে তিন ছেলে সন্তান থাকলেও মেয়ে সন্তান না থাকায় সৎ মা তাকে মেয়ে হিসেবে মেনে নিয়েছেন।

লেদু গাজী ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। অন্যদিকে মেয়ের অনার্স পরীক্ষা থাকায় বাবার সন্ধান পেয়ে তিনি খুলনা চলে গেছেন। অংশ নেবেন পরীক্ষায়। যা শেষে হলে মেয়েটি নিজেই তার বাবার কর্মস্থল ঢাকায় যাবেন বলে কথা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
এমএস/ওএইচ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।