স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৭০ ফুট দৈর্ঘের এই সেতুটি নির্মাণ করে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর সেতুর পশ্চিম অংশের একাংশ খালে ভেঙে পড়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, গুদিঘাটা খালের পশ্চিম দিকে রয়েছে পোরগোলা, ভোরা, রাজারকাঠি, বাগমারা, পশ্চিমচর কদমতলা গ্রাম। পূর্ব দিকে রয়েছে খানাকুনিয়ারি ফাজিল মাদ্রাসা, খানাকুনিয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কদমতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। পশ্চিমের গ্রামগুলোর ১৫ হাজার বাসিন্দাকে জেলা ও উপজেলা সদর, হাসপাতাল ইউনিয়ন পরিষদ ও হাটবাজারে সড়ক পথে যেতে গুদিঘাটা খালের ওপর খানাকুনিয়ারি সেতু পার হতে হয়।
পোরগোলা গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন সময় খাল থেকে চলাচল করা কার্গোর ধাক্কায় সেতুটি নড়বড়ে হয়ে যায়। গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিকেলে হঠাৎ সেতুটির একাংশ ভেঙে যায়।
খানাকুনিয়ারি ফাজিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে জানায়, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর আমরা নৌকায় খাল পারাপার হতাম। কয়েক দিন আগে সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশে সাঁকো তৈরি করে পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সাঁকো পারাপার হতে আমাদের ভয় করে।
কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হানিফ খান বাংলানিউজকে বলেন, সেতু ভেঙে যাওয়ার পর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় আমি বিষয়টি তুলেছি। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে ভেঙে যাওয়া সেতুর স্থলে নতুন একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। কিন্তু এক বছরেও সেতু হলো না।
পিরোজপুর সদর উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বাংলানিউজকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ লোহার সেতুর একটি তালিকা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই তালিকায় খানাকুনিয়ারি গ্রামের গুদিঘাটা সেতুটি ওই তালিকায় রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
এনটি