ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অস্বচ্ছ টেন্ডার প্রক্রিয়ায় উদ্বিগ্ন দুদক ও বিসিসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
অস্বচ্ছ টেন্ডার প্রক্রিয়ায় উদ্বিগ্ন দুদক ও বিসিসি দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষে দুদক ও বিসিসির মতবিনিময়; ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: অস্বচ্ছ টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ নবগঠিত সংস্থা প্রতিযোগিতা কমিশন (বিসিসি) উদ্বিগ্ন ও অসন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

রোববার ( ২২ অক্টোবর) দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের (বিসিসি) মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

ইকবাল মাহমুদ জানান, টেন্ডার প্রক্রিয়া আমাদের দেশে দুর্নীতির একটি বড় উৎস।

তাই প্রতিটি টেন্ডার প্রক্রিয়া ইলেক্ট্রনিক টেন্ডারিং (ই-টেন্ডারিং) প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা উচিত। এই  প্রক্রিয়ায় প্রধান এবং সাপোর্টিং টেন্ডারের প্রচলন রয়েছে। এক্ষেত্রে তথাকথিত নিগোসিয়েশন হচ্ছে। এই নিগোসিয়েশন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হচ্ছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে দুদকের কাছে  অভিযোগ আসে। তবে নিগোসিয়েশন হতেই পারে, তবে তা হতে হবে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে।   যদি সরকারি টেন্ডার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়, তাহলে দুর্নীতির সুযোগ অবশ্যই কমে আসবে।

তিনি বলেন, মার্কেটে যদি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা যায়, তাহলে পণ্য উৎপাদনে সৃজনশীলতা আসবে।  মান-সম্পন্ন পণ্যের যোগান বাড়বে। যোগান বাড়লে দ্রব্যমূল্যও কমে আসবে। তাতে করে জনগণের ভোগান্তি হ্রাস পাবে। আবার কেউ ব্যবসার নামে অনুপার্জিত আয় করতে পারবে না।

‘অনুপার্জিত আয় কমে এলে দুদকের কাজও কিছুটা সহজ হয়ে যাবে’ উল্লেখ করে দুদকপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে বলা হয়েছে রাষ্ট্র এমন অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করবে যেখানে কোনো ব্যক্তি অনুপার্জিত আয় ভোগ করতে সমর্থ হবেন না। দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিযোগিতা কমিশনসহ সবাইকে সাথে নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চায়। দুদক স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের সকল সিদ্ধান্ত কমিশনের আইন অনুযায়ী হয়।

প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল খান চৌধুরী বলেন, এটি একটি নতুন প্রতিষ্ঠান। তাই আমরা দুদকের তদন্ত এবং প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতার সহযোগিতা চাই। আমরা দুদকের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য একটি লিখিত প্রস্তাব দিতে চাই। হঠাৎ করে চালের দাম বা পিঁয়াজের দাম বাড়িয়ে কিছু ব্যক্তি দ্রুত ধনী হতে চায়। এসকল ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমিশন হস্তক্ষেপ করবে।

মতবিনিময় সভায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দুদক-সচিব ড. মোঃ শামসুল আরেফিন, মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী, মোঃ আসাদুজ্জামান, মোঃ জাফর ইকবাল, মোঃ আতিকুর রহমান খান ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের কমিশনারগণ।
বাংলাদেশ সময়:১৮২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
এসজে/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।