এ ঘটনায় দিনাজপুর শহর ইজিবাইক শূন্য হয়ে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
লাইসেন্সধারী ও লাইসেন্সবিহীন অটোবাইক চালক ও মালিকেরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
রোববার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এসব ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ভাংচুরের ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নেওয়ায় বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ইজিবাইক মালিক ও চালক মো. আমিনুর ইসলাম ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান, দিনাজপুর শহরে প্রায় ৩২ হাজার ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলাচল করে। এর মধ্যে শুধু পৌর শহরেই চলাচল করে প্রায় ২০ হাজার ইজিবাইক। দিনাজপুর পৌরসভা ৪ হাজার ইজিবাইককে লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে লাইসেন্স করতে অনিহা প্রকাশ করেন অনেক ইজিবাইক চালক ও মালিকরা। ফলে ২ হাজার ৮শ’ ইজিবাইকের মালিক লাইসেন্স করলেও পৌরসভার সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী আরো ১ হাজার ২শ’ ইজিবাইকের লাইসেন্স হয়নি।
তিনি জানান, সম্প্রতি দিনাজপুর শহরে তীব্র যানজট এড়াতে জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শহরে শুধু লাইসেন্সধারী ইজিবাইক-অটোরিকশা চলাচল করার সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে দিনাজপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে মাইকিং করে গত ২০ অক্টোবরের মধ্যে লাইসেন্সবিহীন যান চলাচল বন্ধ করতে বলা হয়।
অপরদিকে লাইসেন্সধারী ইজিবাইক ও অটোবাইক চালক ও মালিকরা শহরের ৫টি প্রবেশ মুখে অবস্থান নিয়ে গত ৪/৫ দিন ধরে গ্রাম থেকে আসা লাইসেন্সবিহীন ইজিবাইক ও অটোবাইককে শহরে প্রবেশে বাধা দেয়। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে চালক ও মালিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ইজিবাইক চালক ও মালিক সমিতি সদর উপজেলা শাখার সদস্যরা (লাইসেন্সবিহীন) চেরাডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একত্রিত হয়ে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যায়।
সেখান থেকে তাদেরকে মেয়রের কাছে যেতে বললে তারা দিনাজপুর পৌরসভায় যায়। এ সময় তারা দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপিতে তারা পৌরসভা থেকে অথবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লাইসেন্স দেওয়া, সদর উপজেলার ইজিবাইকগুলোকে শহরসহ সব জায়গায় চলাচল করার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান।
স্মারকলিপি দেওয়ার পর ইজিবাইক চালকরা মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ইজিবাইক ভাংচুর করা হয়। এতে শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বিকেল তিনটা পর্যন্ত তারা শহরে অবস্থান নিয়ে ইজিবাইক চলাচলে বাধা দেয়। ফলে শহরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরে ইজিবাইক-অটোবাইক চলাচল বন্ধ ছিলো। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে জানতে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে কয়েক দফা তার মোবাইলে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
জেডএস