ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

নিউরোফাইব্রোম্যাটোসিস রোগে আক্রান্ত একই পরিবারের ৬ জন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
নিউরোফাইব্রোম্যাটোসিস রোগে আক্রান্ত একই পরিবারের ৬ জন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলায় দুরারোগ্য নিউরোফাইব্রোম্যাটোসিস রোগে আক্রান্ত হতদরিদ্র একটি পরিবারের ছয় সদস্য। এ রোগের কারণে সমাজ ও স্বজনদের থেকে বিছিন্ন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

ছোঁয়াচে রোগ ভেবে অনেকেই তাদের সঙ্গে মিশতে চায় না। এমনকি আত্মীয়তাও করতে চায় না কেউ।

তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন এটি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়, এটি জেনেটিক।

জানা গেছে, উপজেলার কিসমত ঘোড়াগাছা গ্রামের মৃত পল্লী চিকিৎসক ইজাল উদ্দিনের তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ইজাল উদ্দিন এ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। পরে তার তিন সন্তান ইফাজ উদ্দিন, নারগিস খাতুন ও পারভিন খাতুন, ইফাজ উদ্দিনের ছেলে ও ঘোড়াগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অনিক হোসেন, নারগিস খাতুনের ছেলে মো. রুমিয় এ রোগে আক্রান্ত হয়। বর্তমানে তাদের পরিবারের ৬ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সর্বশেষ আক্রান্ত হয় পারভিন খাতুনের মেয়ে ও বাড়াদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছোয়া খাতুন।

সরেজমিনে ইফাজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ৯ থেকে ১০ বছর বয়স থেকে শরীরে ছোট ছোট তিলের মত দেখা দেয়। পরে তা বড় হয়ে মার্বেলের আকার ধারণ করে সারা শরীরে ছেয়ে যায়। সাধারণ মানুষের ধারণা এটি ছোঁয়াচে রোগ। তাই আমাদের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে কেউ মিশতে চায় না।

এছাড়াও স্কুলগামী তিন সন্তান এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ক্লাস রুমে এবং খেলাধূলার সময় বন্ধুরা তাদের এড়িয়ে চলে। মৃত ইজাল উদ্দিনের বড় ও ছোট মেয়ে এ রোগের কারণে স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে বাবার বাড়িতে সন্তানসহ ফিরে এসেছেন। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রাশেদ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, এটি একটি জেনেটিক ডিজঅর্ডার যা স্নায়ুতন্ত্রের কোষের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে এবং এর কারণে স্নায়ু বা নার্ভ টিস্যুতে টিউমার সৃষ্টি হয়। এই টিউমার স্নায়ু তন্ত্রের যে কোন অংশ যেমন- মস্তিষ্ক, স্পাইনাল কর্ড, নার্ভে দেখা দিতে পারে। এ রোগের কার্যকরী কোনো চিকিৎসা নেই। পেলিয়াটিভ থেরাপির মাধ্যমে কিছুটা চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে। তবে এর মাধ্যমে রোগ নির্মূল করা সম্ভব নয়।

হতদরিদ্র এ পরিবারটির পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে তারা সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। আর্থিক সহায়তায় ইফাজ উদ্দিনের বিকাশ নম্বর (০১৯৪৯-১৩২৬৭০)।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
টিএ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।