ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জলাবদ্ধতা হতেই পারে!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
জলাবদ্ধতা হতেই পারে! 'মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতারত মেয়র সাঈদ খোকন; ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: ঢাকায় দুই দিনে ২৩০ মিলি মিটার বৃষ্টি হয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতা হতেই পারে বলে মনে করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। 

তিনি রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে 'মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তৃতা করছিলেন। সেমিনার শেষে ঢাকার অসহনীয় জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

পাশাপাশি তিনি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ও বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে বিরাজমান সমন্বয়হীনতার কথাও উল্লেখ করেন।  এছাড়াও অতিবর্ষণজনিত জলাবদ্ধতার পেছনে ওয়াসার দায় আছে বলেও মনে করেন তিনি।  
তিনি বলেন, বর্তমানের যে জলাবদ্ধতা তা এক বা দুইদিনে হয়নি। বরং ২৫ থেকে ৩০ বছরের সমন্বয়হীনতার কারণেই আজ এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্যা এক বা দুইদিনে সমাধান করা সম্ভব হবে না।

এর আগে সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাঈদ খোকন বলেন, সিটি কর্পোরেশনের অন্য যেকোনো কাজের চেয়ে সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। উচ্চ আদালতের নির্দেশে সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কোনো বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম এখন আর পরিচালনা হয় না।  

পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক সময় সকাল ৭টার পরও কাজ করতে হয় তাদের। তবে তাদের পরিষ্কার করার পরও নগরবাসী দোকান পরিষ্কার করেন, ঘরের রান্না শেষে আবর্জনা পথে ফেলেন এবং সড়কগুলোকে আবার নোংরা করে ফেলেন।  

৫ হাজার ৭০০ ডাস্টবিন দেয়া হয়েছিল পথে। কিন্তু এরই মধ্যে অনেকগুলো চুরি হয়ে গেছে।  অনেকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকেই সেগুলো নিয়ে ছাদে ফুলের টব হিসেবেও ব্যবহার করছেন। আমাদের এসব অভ্যাস দূর করতে হবে।  

সিটি কর্পোরেশনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর দুর্বলতা আছে স্বীকার করে তা দূর করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। মেডিকেলের বর্জ্য বিক্রির বিষয়টিতে সতর্কতার প্রয়োজন আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।  

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকা শহরের খালগুলো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এগুলো পরিষ্কার করতে হবে। সবক’টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে।

তিনি বলেন, মেডিকেল ও ওষুধশিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জ্যে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান, অণুজীব, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া থাকে। যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই ক্ষতিকর। মেডিকেল বর্জ্যের এক চতুর্থাংশ বর্জ্যই মানবদেহের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর।
সংক্রামক ও অসংক্রামকসহ বহু ধরনের রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে এইসব বর্জ্য থেকে। এসব বর্জ্যকে সংক্রামক জীবাণু মুক্ত করে পুনর্ব্যবহারের ওপর এখন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ওসমান গণির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মালেক।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭ / আপডেট ১৩০৫ ঘণ্টা
এমএন/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।