ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে ফেরি বন্ধে যাত্রীদের দুর্ভোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে ফেরি বন্ধে যাত্রীদের দুর্ভোগ শিমুলিয়া ঘাট

মুন্সীগঞ্জ: খারাপ আবহাওয়ার কারণে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও স্বাভাবিক হয়নি ফেরি চলাচল।

বৈরী আবহাওয়া এবং পদ্মার তীব্র ঢেউয়ের কারণে বর্তমানে বন্ধ আছে এই নৌরুটে নৌযান চলাচল। রাতভর ঘাটে পরিবার পরিজন নিয়ে আটকে থাকা যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।

সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে শিশু ও নারীরা।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে লঞ্চ, স্পিডবোট এবং রাত ১০টা থেকে নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শেষ খবর পর্যন্ত শনিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত এই নৌরুটে চালু হয়নি ফেরি চলাচল। যাত্রী চাপ সামাল দিতে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর শুধু যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে গিয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে পৌঁছায়।

বিআইডব্লিউটিসি"র শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. খালেদ নেওয়াজ বাংলানিউজকে জানান, বৈরী আবহাওয়া এবং পদ্মা নদীর তীব্র ঢেউয়ের কারণে ২৪ ঘণ্টা ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ। প্রতিকূল আবহাওয়ায় রাতে নদীতে ফেরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বর্তমানে ১৬টি ফেরিই বন্ধ এবং আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ফেরি চলাচল শুরু হবে বলে জানান তিনি।

মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরোজিৎ কুমার ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার থেকেই নৌরুটে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর শুধুমাত্র যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে গিয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে পৌঁছায়। ঘাট এলাকায় বর্তমানে ৫ শতাধিক গাড়ির দীর্ঘ লাইন আছে। সন্ধ্যার দিকে অনেক গাড়ি দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে না পেরে ফিরে গেছে। নৌ-পুলিশ ঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

শিমুলিয়া ঘাটে অবস্থানরত বাস যাত্রী মাজহারুল রোমান বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শিমুলিয়া ঘাটে অবস্থান করছি কাঁঠালবাড়ি ঘাটে যাওয়ার জন্য। যে টাকা নিয়ে এসেছি তাও শেষের দিকে কেন না এখানকার হোটেলগুলোতে খাবারের খরচ অনেক বেশি। স্ত্রীকে নিয়ে সারাদিন বাসে বসে কতক্ষণ অপেক্ষা করা যায়। আবহাওয়া খারাপ থাকলেই ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এই নৌরুটে। এবারের ঈদেও যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিতে না পেরে ফিরে গেছে। এছাড়া এখানকার চলাচলরত ফেরিগুলো অনেক পুরনো এবং নানা সমস্যায় জর্জরিত।

ট্রাক চালক দুলাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ‘যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে প্রাধান্য দেওয়ায় পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য পৌঁছাতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে। টানা বৃষ্টিতে ঘাট এলাকায় নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে চালকদের। অল্প টাকা নিয়ে গন্তব্যে যাত্রা শুরু করি, খেয়ে না খেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ঘাটে ফেরিতে উঠার অপেক্ষায় আছি’।

বাংলাদেশ সময়: ০২৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।