ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বৈরী আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত পটুয়াখালীর উপকূল 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
বৈরী আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত পটুয়াখালীর উপকূল  বৈরি আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত পটুয়াখালীর উপকূল 

পটুয়াখালী: বৈরী আবহাওয়ার কারণে টানা তিনদিনের বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পটুয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চল। জেলার উপকূলীয় উপজেলা রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়ায় জোয়ারের পানিতে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে আর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামীণ নদী তীরবর্তী বেরিবাঁধ।

পানিতে তলিয়ে গেছে অর্ধশত চরসহ জেলার নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি ও মাছের ঘের।

সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া, মুন্সিপাড়া, নাওয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, বানাতিপাড়া,  বড় পাচনংসহ ১০টি গ্রাম এবং মহিপুরের নিজামপুর, সুধিরপুর, কমরপুর, পুরান মহিপুর গ্রামের মানুষ।

এই দুটি ইউনিয়নের রামনাবাদ পাড়ের লালুয়ার প্রায় চার কিলোমিটার এবং মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুরের আন্ধারমানিক নদীতে প্রায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়ে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে এখন বসতি ও ফসলি জমি তলিয়ে রয়েছে।

নিজামপুর গ্রামের সিদ্দিক মুন্সী জানান, জোয়ারের পানিতে নিজেরা বসবাসসহ গবাদিপশু হাসমুরগি নিয়ে এসব মানুষ চরম বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছেন।  

লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মীর তারিকুজ্জামান তারা জানান, বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছ।

আর মহিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম আকন জানান, নিজামপুর ও কমরপুর বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।  

অপরদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারে রাঙ্গাবালী উপজেলার ৬ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে ফসলি ক্ষেত তলিয়ে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারে উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের গরুভাঙা, মধ্যচালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা, গোলবুনিয়া, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডার ও চরবেষ্টিন গ্রামের পূর্ব অংশ প্লাবিত হয়। একারণে ওইসব গ্রামের ক্ষেত তলিয়ে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়।  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আব্দুল মান্নান  জানান, উপজেলায় ঝড়ো বাতাস ও জোয়ারের পানিতে ক্ষেত তলিয়ে থাকায় ৫ শতাংশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ’   

এদিকে বঙ্গোপসাগরের কুয়াকাটায় সৈকতে জোয়ার ও বাতাসের কারণে গাছপালা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। সেখান সাধারণ মানুষ জলোচ্ছ্বাস আতঙ্কে রয়েছেন।

আবহাওয়া অফিস পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ও স্থানীয় নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় অভ্যন্তরীণ সকল রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদীর কালিকাপুর পয়েন্ট সংলগ্ন স্থানে নদী ভাঙনের ফলে বাঁধ ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।  

অপরদিকে পটুয়াখালী, কলাপাড়া, বাউফলসহ জেলার পৌরশহর গুলোর নিম্নাঞ্চল ও ভাঙা সড়কে পানি জমে জনদুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
এমএস/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।