ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা, বৃষ্টি কমবে রোববার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা, বৃষ্টি কমবে রোববার জলোচ্ছ্বাসের ফাইল ছবি

ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপটি উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যার ফলে রোববারের (২২ অক্টোবর) আগে বৃষ্টিপাত কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। শনিবার দিনভর একই ধারায় চলবে বর্ষণ। প্রকৃতির এ খেয়ালে সাগর উত্তাল থাকায় এখনও তিন (০৩) নম্বর সতর্কতা সংকেত বলবৎ রয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কাও দেখছে আবহাওয়া অফিস।

সংস্থাটি বলছে, এ সময়ের মধ্যে গত দুইদিনের মতো দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতও হবে।  

আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানিয়েছেন, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল ও উড়িষ্যা এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিন্মচাপটি সামান্য উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

যার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এছাড়া সাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন (০৩) নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
 
নিন্মচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিন্মাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-২ ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
 
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, এখনো এটি বলবৎ রয়েছে। তবে জলোচ্ছ্বাস কোথায় কি পরিমাণ হচ্ছে বিষয়টি এখনো পর্যালোচনা চলছে। এ অবস্থায় সাগর উত্তাল থাকায় সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
 
এদিকে রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চল দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে বজ্রসহ বর্ষণ হবে। তাই এসব এলাকার নদী বন্দরগুলোকে দুই (০২) নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
 
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়ার বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমেনি জানিয়ে আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ শাহীনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সারাদেশের মধ্যে গত ১২ ঘণ্টায় (সকাল ৮টা নাগাদ) সবচেয়ে বেশি ২৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে গোপালগঞ্জে। আর ঢাকায় গত কয়েকদিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে এই ১২ ঘণ্টায়। এখানে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৪৯ মিলিমিটার।
 
তিনি বলেন, বৃষ্টিপাতের চলমান প্রবণতা অব্যাহত থাকবে শনিবার পর্যন্ত। তবে রোববার কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
 
এদিকে টানা বর্ষণের কারণে এরইমধ্যে সারাদেশেই জনজীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে। ব্যাঘাত ঘটছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। আর জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী। সড়কের মাঝখানে হঠাৎ বন্ধ হয়ে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা।  
 
শুক্রবার দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে, ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
 
ঢাকায় বৃষ্টি ৯৫ মিলিমিটার, শনিবারও বৈরী আবহাওয়া

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।