ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকায় বৃষ্টি ৯৫ মিলিমিটার, শনিবারও বৈরী আবহাওয়া

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
ঢাকায় বৃষ্টি ৯৫ মিলিমিটার, শনিবারও বৈরী আবহাওয়া ঢাকায় বৃষ্টিতে নাকাল জনজীবন/ছবি: শাকিল-বাংলানিউজ

ঢাকা: নিম্নচাপের প্রভাবে দিনভর ঢাকাসহ সারা দেশেই ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হয়েছে। জনজীবনে পড়েছে এর বিরূপ প্রভাব। ঢাকায় জলাবদ্ধতায় নাকাল হয়েছে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ।

আবহাওয়া অফিস বলছে, শনিবারও (২১ অক্টোবর) দিনের অধিকাংশ সময় বৃষ্টি ঝরবে। ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে সারা দেশেই।

সমুদ্র বন্দরগুলোতে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। তবে বিকেলে বৃষ্টিপাত কমে যাবে।
 
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৯৫ মিলিমিটার ছাড়াও দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে গোপালগঞ্জে ১৪৩ মিলিমিটার। বৃষ্টিপাতের কারণে ঢাকার মিরপুর, শান্তিনগর, মালিবাগ, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় পানি জমে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটে।
 
আবহাওয়াবিদ নিঝুম রোকেয়া আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, উপকূলীয় উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপের কারণে শনিবার দুপুর পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
 
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান জানান, নিম্নচাপটি আরও উত্তর/উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে এবং গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে।
 
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
 
নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
 
অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
 
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
 
সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
 
পরবর্তী দুই ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
 
শুক্রবার টাঙ্গাইলে ৬৭ মিলি, ফরিদপুরে ৭৭ মিলি, মাদারীপুরে ১১৩ মিলি, ময়মনসিংহে ৪০ মিলি, নেত্রকোনায় ৪২ মিলি বৃষ্টি হয়েছে।
 
এছাড়া চট্টগ্রামে ২০ মিলি, সন্দ্বীপে ৫৬ মিলি, সীতাকুণ্ডে ১৪ মিলি, রাঙামাটিতে ২৭ মিলি, কুমিল্লায় ৪৩ মিলি, চাঁদপুরে ৮৬ মিলি, মাইজদীকোর্টে ৯৫ মিলি, ফেনীতে ৬৪ মিলি, হাতিয়ায় ১১৩ মিলি, কক্সবাজারে ৩৮ মিলি, কুতুবদিয়ায় ২২ মিলি, টেকনাফে ১৪ মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
 
সিলেটে ২১ মিলি, শ্রীমঙ্গলে ১৭ মিলি, রাজশাহীতে ৪৭ মিলি, ঈশ্বরদীতে ৬৬ মিলি, বগুড়ায় ৩২ মিলি, বদলগাছীতে ৩৪ মিলি, তাড়াশে ৪৭ মিলি, রংপুরে ১৫ মিলি, দিনাজপুরে ৯ মিলি, সৈয়দপুরে ১০ মিলি, তেঁতুলিয়ায় ১৬ মিলি, ডিমলায় ২৮ মিলি, রাজারহাটে ১০ মিলি বৃষ্টি হয়েছে।
 
খুলনায় ১১১ মিলি, মংলায় ৯৮ মিলি, সাতক্ষীরায় ৯৫ মিলি, যশোরে ৯৩ মিলি, চুয়াডাঙ্গায় ৬২ মিলি, কুমারখালীতে ৭৯ মিলি, বরিশালে ১০৩ মিলি, পটুয়াখালীতে ১০২ মিলি, খেপুপাড়ায় ৮৩ মিলি ও ভোলায় ৫৬ মিলি বৃষ্টি রেকর্ডের তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।