ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাগুরায় কাত্যায়নী পূজায় বিশেষ চমক বাহুবলী টু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
মাগুরায় কাত্যায়নী পূজায় বিশেষ চমক বাহুবলী টু ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মাগুরা: মাগুরা জেলার কাত্যায়নী পূজা গোটা দেশে পরিচিত। থিমের চমক, পাশাপাশি প্রতিমার উচ্চতাও অন্যতম সেরা আকর্ষণ। শহরে এবার বেশ কিছু পূজায় দর্শক টানতে থিমের পূজার আয়োজন করা হয়েছে।

মাগুরা ছানাবাবুর বটতলায় এবার কাত্যায়ানী পূজার মূর্তি তৈরি করছেন বাহুবলী টু আদলে। ৫৫ ফুট উঁচু এ প্যাণ্ডেল ঘিরে ইতোমধ্যে শহরে কৌতুহল তৈরি হয়েছে।

শত শত বছর ধরে মাগুরা শহরে কাত্যায়ানী পূজা হচ্ছে। ২৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ পূজা শেষ হবে ৩০ অক্টোবর দশমীর মাধ্যমে।

এবার মণ্ডপের সঙ্গে মানানসই কাত্যায়ানী মায়ের মূর্তি তৈরি করছেন উজ্জ্বল কুমার গুরু। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর কাত্যায়ানী পূজায় চমক থাকবে বাহুবলী টু। এ মূতি তৈরিতে ব্যয় হবে ৫ লাখ টাকা। পূজা মণ্ডপ তৈরি হবে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মঞ্চের আদলে।

ফাল্গুনি ডেকোরেটরের মালিক সমীর কুমার বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর আমি কাত্যায়ানী পূজার প্রধান গেট তৈরি করছি ভারতের উত্তর প্রদেশের জগন্নাথদেবের মন্দিরের আদলে। যাতে ব্যয় হবে ১৩ লাখ টাকা।

ছানাবাবুর কাত্যায়ানী পূজার সভাপতি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বাংলানিউজকে বলেন, সংগঠনে বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ৬শ‘ জন। তাদের চাঁদাতেই পূজার যাবতীয় খরচ হয়। আমাদের সংগঠনের সদস্যরা সারা বছর বিভিন্ন রকম সমাজসেবামূলক কাজ করে। এর মধ্য উল্লেখযোগ্য গীতা স্কুল, কন্যাদায়গ্রস্ত, চিকিৎসাসহ আর্থিক সহযোগিতা ও বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজ করে  থাকি।

এ বছর মাগুরা পৌর এলাকায় ১৫টিসহ জেলায় মোট ৯১টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পংকজ কুণ্ডু আর বাংলানিউজকে জানান, প্রায় একশ বছর ধরে দুর্গা পূজার এক মাস পর জেলায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শহরতলীর পারন্দুয়ালী এলাকার সতিশ মাঝি এটির সূচনা করেছিলেন। স্বাধীনতার পরে যা ব্যাপক বিস্তৃতি পায়। এটা জেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা হলেও এ উৎসবে মিলিত হয় সব ধর্মের মানুষ, যা জেলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন।

মাগুরায় এ বর্ণিল পরিবেশের উৎসবে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লাখ লাখ দর্শনার্থীদের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী নেপাল ও ভারত থেকেও ছুটে আসেন উৎসাহীরা। এলাকার প্রতিটি বাড়িতে আত্মীয় স্বজন আসেন পূজা দেখতে।

জেলায় পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু কুণ্ডু বাংলানিউজকে জানান, মাতা দুর্গার ষষ্ঠ রূপের নাম কাত্যায়নী। ধর্মীয় শাস্ত্রমতে এ পূজা করা হয়।

মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার মুনিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পূজায় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য শহরে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির সমন্বয়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া মণ্ডপগুলোর আশপাশের এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
আরবি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।