ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রোহিঙ্গা ফেরাতে আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন চায় ইইউ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
রোহিঙ্গা ফেরাতে আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন চায় ইইউ আলোচনায় বক্তব্য রাখছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে টিরিংক (মাঝে)। ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার বাস্তবায়ন চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তাদের দাবি, অবশ্যই নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন করতে হবে মিয়ানমারকে।

বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেশন প্রধান ও রাষ্ট্রদূত রেনসে টিরিংক জানিয়েছেন জোটের এই অবস্থানের কথা। তিনি বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার একটি হোটেলে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাবের আলোচনা অনুষ্ঠান ‘ডিক্যাব টকে’ বক্তব্য রাখছিলেন।

রেনসে টিরিংক বলেন, ইইউ সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা
এটির (রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান) বিরুদ্ধে প্রতীকী হিসেবে ব্যবস্থা। রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারকে সমাধান করতেই হবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, এতো কম সময়ে এতো শরণার্থীর পালিয়ে আসা এখানে (বাংলাদেশে) মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। এ সংকট মোকাবেলায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের সকলকে সহযোগিতা করে যেতে হবে।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা সংকট দেখতে আগামী ৩০ অক্টোবর ঢাকায় আসবেন ইইউ’র মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার ক্রিস্টেস স্টাইলিয়ানিডিস। ৩১ নভেম্বর তিনি কক্সবাজারে যাবেন। সেখান থেকে ফিরে এ বিষয়ে ইইউ’র অবস্থান জানাবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত টিরিংক বলেন, আমরা মিয়ানমারকে চাপ দেবো, কিন্তু কীভাবে? এ দেশটি অনেকদিন চোখের আড়ালে ছিল। এখন আবার মিয়ানমারে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে চীন।  সেজন্য একটি জটিল প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে, এটা কীভাবে সমাধান হবে।

রাষ্ট্রদূতের বিবেচনায়, ইতিবাচক দিক হলো-- এটি বিশ্ব নজরে আনতে সক্ষম হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে চীন ও ভারতের ভূমিকা থাকতে পারে।

টিরিংক বলেন, বাংলাদেশ মানবিক দিক থেকে সঠিক কাজ করছে। সম্প্রতি ইইউও এ ধরনের সংকটে পড়েছে। যারাই সহযোগিতা করতে চায় তাদের তা করতে দেওয়া উচিত।

ঢাকায় নয়া এ রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি এক মাস হলো এ দেশে এসেছি। এরই মধ্যে বাংলাদেশের উষ্ণ অভ্যর্থনা আমাকে বিমোহিত করেছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ইইউর বাজারে কোটা-ফ্রি সুবিধা পায়। যা দু’পক্ষের বাণিজ্য প্রসারে ভূমিকা রাখছে।

সামনের বছরে বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন হবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ সময়টা দেশের জন্য কঠিন সময়। নির্বাচনের সময় আমন্ত্রণ জানালে পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইইউ।

আলোচনার সভাপতি ছিলেন ডিক্যাবের প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম লোটাস, আর পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
কেজেড/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।