ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এই শহরের সেরা খিচুড়ি আর নেশা ধরা চা যেখানে

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
এই শহরের সেরা খিচুড়ি আর নেশা ধরা চা যেখানে এই শহরের সেরা খিচুড়ি আর নেশা ধরা চা যেখানে/ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: মধ্যরাত। হোটেল ওয়েস্টিন ঘেঁষা ৪৫ নম্বর সড়ক। সেখানে তারণ্যের ভিড়। কিছুটা হৈ-হুল্লোড়। আর এসব ‘গুলশান নিউ প্লাজা রেস্তোরাঁ’কে ঘিরে। যেখানে খিচুড়ির এক অসাধারণ স্বাদ আর নেশা লাগা চা টেনে এনেছে তাদের। খিচুড়ির সঙ্গে আমের আচার। আহা…! নান-গ্রিল, বিফ তেহারিও বেশ স্বাদের।  

অভিব্যক্তি গুলো ভোজন রসিকদের মুখ থেকে নেয়া। তাদের পছন্দের তালিকায় উঠে আসা এই রেস্টুরেন্ট জেগে থাকে মধ্য রাতেও।

ভিড় ভাট্টা শেষে বন্ধ হয় ভোর রাতের আগে। আবার সকাল ৭টা থেকে খুলে যায়। ছুটির দিনগুলোতে আড্ডা জমে আরও বেশি।
 
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাত দেড়টায় নিউ প্লাজা রেস্তোরাঁয় বসে আড্ডায় মেতেছেন অনেকেই। তাদের বেশিরভাগের সামনে খিচুড়ি। অনেকে খিচুড়ি ভোজ শেষে চায়ের অর্ডার দিয়েছেন। আরও অনেকে এসে সবে ঢুকছেন। দেখা গেলো বিফ তেহারি আর খিচুড়ি অর্ডারটাই বেশি।
 
এই রেস্টুরেন্ট ঘিরে কেন এতো ভিড়? তার তিনটি কারণ জানালেন রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। প্রথমত তাদের খাবারের স্বাদ। অন্যটি মধ্যরাতেও খোলা। তৃতীয় কারণ- দামে সস্তা।
 
এ তিন কারণে ধানমন্ডি বা উত্তরাসহ দূর-দূরান্ত থেকেও এখানে এসে খেয়ে যান অনেকেই। সেটা যত রাতই হোক। দিনের বেলাও একই দৃশ্য। তবে রাতে গুলশান বনানী সহ আশেপাশের সব হোটেল রেস্তোরাঁ যখন বন্ধ! তখনও খোলা গুলশান নিউ প্লাজা।
...অভিজাত এ এলাকার যেকোন রেস্তোরাঁর খাবারের স্বাদ যেমনই হোক দাম কিন্তু চড়া। তার বিপরীতে গুলশান নিউ প্লাজার স্বাদ বেশি দাম কম। এই পরিচিত রেস্তোরাঁয় ভোজনরশিকদের আকর্ষণের মূল কারণ।
 
শুধু সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কয়েকশো লোক এসে খেয়ে যান। খিচুড়ি, গরুর কালাবুনা, চিকেন বিরিয়ানি, বিফ খিচুড়িসহ ৭৬ পদের দেশীয় খাবার রয়েছে তাদের মেন্যুতে।
 
সকালের নাস্তায় রয়েছে, চিকেন স্যুপ, মাটন পায়া, চিকেন গিলা কলিজার দাম ৮০ টাকা। রয়েছে ভাজি, বুটের ডাল, মুগডাল।
 
বিফ ও মাটন লেবার বোনা, ভুনা খিচুড়ি, চিকেন বিরিয়ান, চিকেন খিচুড়ি, চিকেন কারি ১০০ টাকা।  
 
চিকেন ঝালফ্রাই ১৩০ টাকা, চিকেন কারি ১০০ টাকা, বিফবুনা ২০০ টাকা, বিফ কালাবোনা ৩০০ টাকা।  
 
রাতে রেস্তোরাঁর ক্যাশ কাউন্টার থেকে মো. ইউনুস বাংলানিউজকে বলেন, গুলশানে খিচুড়ি যেখানে ৫ থেকে ৬শ টাকা, কিন্তু তাদের এখানে দেড়শো টাকার মধ্যে। এরকম সব খাবারের দাম এখানে তুলনামূলক অনেক কম।
 
২০০৮ সালে গুলশান নিউ প্লাজা রেস্তোরাঁ খোলা হয়। তারও বহু আগে ৮০-দশকে গুলশান প্লাজা নামে গোলচত্বরের পাশে এই রেস্তোরাঁ ছিলো। সে হিসেবে রেস্তোরাঁটির বয়স ৩০ বছরের বেশি।
 
রেস্তারাটির মালিক বারিধারার ফিরোজ আলম। হোটেল ব্যবসা তাদের পারিবারিক।

ইউনুস জানান, তাদের খাবার তৈরিতে গুণগত মানের পণ্য সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। মশলা দেয়া থাকে পরিমাণমত। ৬ জন শেফ কাজ করেন। সব মিলিয়ে ৩০ জন রেস্তোরাঁর স্টাফ।
 
গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে অবন্তিকা অবন্তি এখানে এসে খান। তার কাছে এখানের চা নেশার মতো। নান গ্রিল এবং খিচুড়ি বেশ স্বাদের- অভিব্যাক্তিতে বলেন অবন্তি।
 
শরিফুল ইসলাম নামে আরেকজন তরুণের ভাষায়, ‘বেস্ট খিচুড়ি ইন টাউন’।
 
তাশদিদা সামছি বললেন, ‘খুব রিজনেবল দামের মধ্যে গুলশান এলাকায় চিকেন শর্মা।
তাদের বিফ খিচুড়ির বেশ ভক্ত গাজী মুসায়েব রাফান।

নাফিসা হক ইশিকা নামে আরেকজন তরুণী বললেন, ‘এখানে চা আমার ভীষণ পছন্দের। বিফ তেহারিটাও ভালো। চা লাভারদের উচিত এখানে একবার ট্রাই করা। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
এসএ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।